জান্নাতুল ফেরদৌস কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
ভেড়ামারা উপজেলার চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমান ও তার ভাইকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর এক আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল প্রামাণিকের দুই ছেলে কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ। তাদের মধ্যে নয়ন পলাতক। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ভেড়ামারার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও তার ভাই আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, আকুল মণ্ডলের ছেলে মাহফুজুর রহমান ওরফে কবি, বেনজির প্রামাণিকের ছেলে হৃদয় আলী, নাজির প্রামাণিকের ছেলে সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর এলাকার মৃত নরুল হক মালিথার ছেলে জিয়ারুল ইসলাম ওরফে সিহাব মালিথা এবং আশরাফ মালিথা। তাদের মধ্যে সম্রাট ও হৃদয় আলী পলাতক,গোলাপনগর এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে আরিফ মালিথাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কুষ্টিয়া জজকোর্টের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল স্থানীয় মসজিদে এশার নামাজ শেষ করে মুজিবর রহমানসহ তার ভাই ও ছেলেরা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নয়ন, কমল হোসেন মালিথা, আরিফ, কামারুল মালিথা, সুমন মালিথা, নজরুল, লালিম শেখ, কবি, সিহাব, আশরাফ ও সম্রাটসহ আরো কয়েকজন তাদের গতিরোধ করেন। এ সময় আসামিরা মুজিবর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমানকে এলোপাথাড়ি কোপালে ঘটনাস্থলেই মারা যান মুজিবর রহমান। গুরুতর আহত অবস্থায় তার ভাই মিজানুর রহমানকে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনার পর মুজিবর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে আদালতে আসামিদের অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রোববার এ রায় দেন আদালত। মামলার বাদী জাহারুল ইসলাম বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখন দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.