২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সু্জানগরে লেপ- তোষকের দোকান গুলোতে বেড়েছে ধনুকারদের কর্মব্যস্ততা

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ২৩, ২০১৯
সু্জানগরে লেপ- তোষকের দোকান গুলোতে বেড়েছে ধনুকারদের কর্মব্যস্ততা

শিহাব আহম্মেদঃ সুজানগর উপজেলার লেপ তোষকের দোকান গুলোতে শীতের আগমনে ধুনকারদের কর্মব্যাস্ততা বেড়ে গেছে। চলতি শীত মৌসুম আসতে না আসতেই প্রতিদিন দোকানে ক্রেতাদের ভীড় বেড়ে চলছে। দোকানদারদের কাজের চাপ আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়েছে।

 

দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন ক্রেতাদের কাছ থেকে লেপ তোষকের অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। অর্ডারকৃত লেপ তোষক ও জাজিম তৈরির জন্য তারা প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কাজ শুরু করছে।

 

জানা গেছে, গ্রাহকদের কাছ থেকে তুলার মানভেদে প্রতিটি লেপ ৬০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত অর্ডার নিচ্ছেন দোকানদাররা। আব্দুল বাতেন নামে এক দোকানদার জানান শীতকাল ছাড়া কেউ লেপ তোষকের দোকানে খুব একটা আসে না, তাই অর্থপার্জনের প্রকৃত মৌসুম এটি তাদের জন্য।

 

আল আমিন নামে এক দোকানদার বলেন, সাধারণভাবে একটি লেপ তৈরি করতে তুলার মানভেদে শ্রমিকের মুল্য সহ কমপক্ষে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা, তোষক তৈরি করলে ১২০০ থেকে ৫০০০ টাকা ব্যায় হয়। জাজিম তৈরি করতে লাগে ৪হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত।

 

দোকান মালিক সালাম শেখ জানান তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে লেপ তোষকের ব্যাবসা করছেন। সারা বছরের মধ্যে ৩ মাস তাদের ভালো কাজ হয়। তবে গরমের দিনে আয় কমে যায়। তখন তাদের মূল পুঁজি খরচ করে সংসার চালাতে হয়।

খোঁজ নিয়ে দেখো গেছে সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এ পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ২৫০ থেকে প্রায় ৬০০ জন নারী পুরুষ।

 

তারা কেউ সেলাই, কেউ কাপড় বিক্রি, কেউ তুলা বিক্রি, তুলা ছাটাই, আবার কেউ কেউ বেচা-কেনায় জড়িত রয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় লেপ তোষক তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে খরচের তুলনায় বিক্রয় মূল্য কম হওয়ায় পোষাতে না পেরে এ পেশা ছেড়ে অনেকে অন্য পেশায় চলে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30