Sharing is caring!
আমাদের আঞ্চলিক ভাষার
জাহিদুল ইসলাম
রংপুর হইল বিভাগ হামার,
আমি হইলাম মুই,
আমরা’র বদলে হামরা বলি,
তুমির বদলে তুই।
রোদকে হামরা অদ বলি,
ছায়াকে বলি ছ্যায়া,
বালিকাকে চেংরি বলি,
কেমন মজা ভায়া।
বাগানকে হামরা ক্ষ্যাত বলি,
জমিনকে বলি ভূঁই,
তামাক হইল তাংকু হামার,
সূচ হইল সুই।
মরিচ হইল মরুচ ভাইরে,
বেগুন হইল বাগুন,
পাটের বদল কোষ্টা বলি,
চালুনির বদল চালন।
উঠান হইল খুলি হামার,
জামা হইল পিরান,
এ্যাতো ব্যস্ত হওছেন ক্যানে,
এ্যালা একনা জিরান।
অনেক হইল ম্যালারে ভাই,
সুপারি হইল গুয়া,
রক্ত হইল অক্ত হামার,
ফাকা হইল ধুয়া।
আসমান হামার দ্যাওয়া বাহে,
বৃষ্টি হইল ঝড়ি,
কূয়া হইল চুয়া হামার,
রশি হইল দড়ি।
স্বামীকে হামরা ভাতার বলি,
লুঙ্গি হইলো তবন,
বউ হইল মাইয়্যা হামার,
ব্রাশ হইল দাতন।
শার্ট হইল আংগা হামার,
ছাদের নাম চাং,
লাউকে হামরা নাউ বলি,
মারকে বলি ডাং …
আরও মজা আছে বাহে
জুরাই যাইবে পরান,
ধীরে ধীরে যাওছি হামার,
অল্প একনা অরান।
দাওয়াত দিলে জিয়াফৎ বুঝি,
বন্যা মানে বান,
ক্ষিধা পাইলে ভোক বলি,
চাঁদকে বলি চান।
বর্ষা মানে বাইশ্যা হামার,
ব্যাড়া হইল টাটি,
রং কে হামরা অং বলি,
কন্যা যখন বেটি।
সাদা হইল ধলা রে বন্ধু,
রাস্তা হইল ঘাটা,
আমন হইল হেমতী হামার,
শাপলা হইল ভ্যাটা।
বাসের ছাদে উঠলে হামাক,
মফিজ কয়া ডাকে,
রংপুরিয়া ভাষার মত
নাইতো মজা বাহে।