২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

এসপি মাসুদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে অপরাধ মুক্ত হবে কক্সবাজার!

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ২১, ২০১৯
এসপি মাসুদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে অপরাধ মুক্ত হবে কক্সবাজার!

এইচ এম আমান, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মাদক, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, ক্যাসিনোবাজ সহ সামাজিক সকল প্রকার অপরাধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যে নীতি গ্রহন করেছেন সেই নীতিকে পূর্ণ সমর্থন করে সর্বস্তরের মানুষ।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত দুর্নীতি, মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে প্রতিটি জেলায় সরকারের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের এসপি পদমর্যাদা সম্পন্ন কর্মকর্তারা নিজ নিজ জেলায়, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। দায়িত্বে থাকা নিজ জেলা সমূহে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করে সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন।

 

দেশব্যাপী সফল পুলিশ সুপারের মধ্যে একজন কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন চৌধুরী বিপিএম-বার।

 

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা প্রবেশের প্রধান গেটওয়ে খ্যাত কক্সবাজার জেলার তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারিদের শক্তিশালী সাম্রাজ্য।

 

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন চৌধুরী তার নেতৃত্বগুন, সাহসিকতা এবং দক্ষতার সহিত আপোষহীন ভাবে অভিযান পরিচালনা করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। সাপ্তাহিক অভিযোগ তার এই সফলতাকে সম্মান করে।

 

সফল পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন চৌধুরী (বিপিএম-বার) কক্সবাজারে ইয়াবা বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকার একমাত্র উৎস স্থল বঙ্গোপসাগরকে করেছেন দুর্ধর্ষ জলদস্যু মুক্ত।

 

জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে ত্রাসসৃষ্টিকারী অস্ত্রধারী বিভিন্ন জলদস্যু গ্রুপ মৎস্য আহরণ রত অসহায় মৎস্য জীবিদের উপর হামলা করে জান মাল সহ সর্বস্ব লুণ্ঠনকরে নিত। একই সঙ্গে শত শত মাঝি মাল্লাদের অপহরণ করে নিয়ে যেত।

 

জলদস্যুদের চাহিদা মত মুক্তিপণ দিয়ে অপহৃতদের মুক্ত করতে হত। যারা তাদের চাহিদা মত মুক্তিপণ দিতে পারতো না তাদের হত্যা করা হত।

এমন অসংখ্য অভিজ্ঞতা কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যজীবি পরিবারে রয়েছে।

 

বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত সেই দুর্ধর্ষ জলদস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধেও এসপি মাসুদ হোসেন চৌধুরী জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে সাড়াশি অভিযান শুরু করেন। চৌকস মেধাবী সাহসী পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় এবং তত্বাবধানে কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ টিমের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে অপ্রতিরোধ্য জলদস্যুদের উপর একের পর এক অভিযান চালিয়ে জলদস্যুদের জীবন বিপন্ন করে তুলেন।

 

সেই অভিযানের ব্যাপকতা এবং পুলিশের গুলিতে জলদস্যুদের মরতে দেখে কুখ্যাত দুর্ধর্ষ জলদস্যু গ্রুপের নেতা ও সদস্যরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। যার ফলে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে বিগত ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ৪৩ জন চিহ্নিত অস্ত্রধারী জলদস্যুরা দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৩ নভেম্বর শনিবার ২য় বারের মত আরো অনেক জলদস্যু আত্মসমর্পণ করতে বর্তমান সময়ে পুলিশের সেফহোমে রয়েছেন।

 

এই ধারাবাহিক সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে চৌকস পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন চৌধুরীর বুদ্ধিমত্ত্বা, নেতৃত্বগুণ এবং আন্তরিকতার কারণে। তিনি তার অধিনস্ত সকল পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের সাথে সমন্বয়ে কাজ করে চলেছেন।

 

এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন চৌধুরী কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করার আগে কক্সবাজারের চিত্র ছিল ভিন্ন। যোগদান করার পরে কক্সবাজারের চিত্র ভিন্নতা লাভ করে।

 

তিনি নিজ মেধা ও প্রজ্ঞার প্রতিফলন ঘটিয়ে পুলিশ, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষদের মাঝে সমন্বয় ঘটিয়েছেন। তারপর রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের কাছে মাথানত না করে তাঁর সাহসী কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করেই জেলা পর্যায়ে সর্বক্ষেত্রে এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন।

 

তিনি সাহসীকতার সহিত কক্সবাজারে চিহ্নিত ইয়াবা ডনদের শক্তিশালী সাম্রাজ্যে একের পর এক আঘাত করে তচনচ করে দিয়েছেন।

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ডনদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কাছে কোন প্রকার আপোষ না করে সাহসের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে দৃঢ়তার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন। যার ফলে কক্সবাজার এলাকায় দাপটের সাথে যারা এতোদিন মরন নেশা ইয়াবার কারবার চালিয়েছেন, তাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম এসপি মাসুদ।

 

কক্সবাজারে কিছু ইয়াবা কারবারি ছিলেন যারা এতই প্রভাবশালী ছিলেন যে, তাদের উপর কোনদিন আইন প্রয়োগ করা সম্ভবপর ছিলনা। শুধু তাই নয় এই কক্সবাজার জেলায় পুলিশ সুপার কে আসবে, টেকনাফ উখিয়া থানায় ওসি হয়ে কে আসবেন, তা নির্ধারণ করতেন প্রভাবশালী দুটি ইয়াবা সিন্ডিকেট।

 

এই সিন্ডকেট দুটি অর্থ এবং সরকারি ক্ষমতার মাধ্যমে সব সময় আইনি ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিলেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

 

কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন চৌধুরী যোগদান করার পর থেকেই জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে অভিযান চালিয়ে এই ইয়াবা সিন্ডিকেট গুলোর দম্ভ মাটির সাথে মিশিয়ে দেন। বর্তমান সময়ে এখনো সেই প্রভাবশালীদের উপর একের পর এক অভিযান করে তাদের ধরাসায়ি করছেন।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মরণ নেশা ইয়াবার আগ্রাসন থেকে দেশের অন্যতম মেধাশক্তি দেশের যুবক, ছাত্র তরুণদের বাঁচাতে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

 

মরণ নেশা ইয়াবা তৈরির কারখানা আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সীমান্ত জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যং ছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে এবং অরক্ষিত সাগর পথ বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়।

 

এই মরণ নেশা ইয়াবার চরম আগ্রাসনের তথ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্ণগোচর হওয়ার পর তিনি কক্সবাজার জেলায় বিশেষ দায়িত্ব অর্পণ করে মরন ইয়াবা ও ইয়াবা কারবারি, গডফাদারদের সাম্রাজ্যের বিনাশ ঘটাতে চৌকস পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন চৌধুরী (বিপিএম-বার)কে পাঠান। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রদত্ত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাকে অবিচল রেখেছেন।

 

ইয়াবা কারবারি, গডফাদারদের শত কোটি টাকার প্রলোভন গর্বিত পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন চৌধুরীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি থেকে বিন্দু পরিমাণও টলাতে পারেনি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তিনি যে বাংলাদেশ পুলিশের একজন গর্বিত কর্মকর্তা নিজের দক্ষতার মাধ্যমে তিনি তার স্বাক্ষর রেখেছেন।

 

কক্সবাজার জেলায় পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করার পর থেকে এ পর্যন্ত বহুলাংশে সফলতা অর্জন করেছেন মেধা, সততা, দক্ষতা ভিত্তিক নিজ কর্ম গুণে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির পূর্ণ বাস্তবায়নে একজন সফল পুলিশ কর্মকর্তা এবিএম মাসুদ হোসেন চৌধুরী (বিপিএম বার)।

 

যিনি বিগত ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারীতে ১০২ জন শীর্ষ তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি ও গডফাদারদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের মাননীয় মহাপুলিশ পরিদর্শক ডঃ জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছিলেন। বর্তমানে তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা কারবারিরা ২য় বার আত্মসমর্পণ করার জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।

 

এই বিশেষ ব্যক্তির উত্তরোত্তর সাফল্য এবং সু-স্বাস্থ্য কামন করছে সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30