Sharing is caring!
অভিযোগ ডেস্ক : আশরাফুল আলম সাঈদ বগুড়ার এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা আশরাফুল আলম সাঈদ সিডি ব্যবসা, ডিশ ব্যবসার এক পর্যায়ে মিউজিক ভিডিও বানিয়ে হয়ে উঠেছেন হিরো আলম। নিজের বানানো মিউজিক ভিডিওতে নিজেই হিরো, হিরো আলম।
সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন হিরো আলম। এই সমাজে নিজেদের যারা হর্তাকর্তা বলে মনে করেন, তারা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারলেন না। কোনো কোনো গণমাধ্যমও সরাসরি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে শুরু করল, অমুকে তো জনপ্রিয়, আপনিও কেন তার মতো নির্বাচনে এলেন? নাম কেন হিরো আলম? ইসি সচিব বললেন ‘হিরো আলমও…’। এসব প্রশ্নের অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত জবাব দিতে দেখা গেল হিরো আলমকে।
শ্রেণিগত বিভাজনের কারণে হিরো আলমকে ‘হিরো’ ‘নায়ক’ হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তাদের কাছে বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলাটা ‘হাসির উপাদান’। তারা নোয়াখালী বা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললে, তার মধ্যেও হাসির উপাদান খুঁজে পান। তারাই আবার কুমার বিশ্বজিত বা তামিম ইকবাল যখন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন, মুগ্ধ হয়ে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কী বললেন, তা বোঝার চেষ্টা করেন। কুমার বিশ্বজিত বা তামিম ইকবালদের শ্রেণিগত অবস্থানের কারণে কেউ তাদেরকে নিয়ে রসিকতা করার সাহস দেখাতে পারেন না। যারা প্রতিনিয়ত রসিকতা করেন, হিরো আলমের আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে। প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষা যে, ভাষার প্রকৃত সৌন্দর্য, ভাসমান সংস্কৃতির ধারকদের ভেতরে তা গড়ে ওঠে না।
হিরো আলমের যেসব মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে আছে, সেগুলো নিয়ে সমালোচনার নানা দিক নিশ্চয়ই আছে। ক্যামেরার কাজ মানসম্পন্ন নয়। হিরো আলম ও তার নায়িকাদের অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি অনেক ক্ষেত্রে দৃষ্টিকটু। কোনো বিবেচনাতেই তা মানসম্পন্ন শিল্প হয়ে ওঠেনি।
হিরো আলম এর প্রতিটি ছবিতে দেখা যায়, তার প্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল নুসরাত জাহান ঝুমুকে। ঝুমু এপর্যন্ত যতো মডে ও অভিনয় করেছেন তার বসচেয়ে প্রিয় নায়ক হচ্ছে হিরো আলম। ঝুমু সর্বদাই দেখা যায়, তার নিজস্ব ফেসবুকে হিরো আলম ও তার ছবি পোষ্ট করেন, এবং লিখেন আমি তোমাকে ভালোবাসি। ফেসবুক পাঠকরা তাদের ভালোবাসাকেও সমর্তন করেন।