Sharing is caring!
অভিযোগ ডেস্ক : বসিরহাট রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন এলাকার একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১১ মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হোটেলের ম্যানেজার সহ ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতে তোলা হলে বিচারক অমলকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজাত এবং বাকিদের ১৪ দিন জেল হেফাজাতের নির্দেশ দেন। সিল করে দেওয়া হয়েছে হোটেলটি।
কীভাবে দিনের পর দিন এভাবে দেহ ব্যবসা চলছিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকাও।
গত কয়েক ধরেই ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত শহর বসিরহাট ও টাকির বিভিন্ন হোটেলে দেহ ব্যবসার অভিযোগ উঠছিল। সীমান্তের ওপার থেকে অল্পবয়সী মেয়েদের মোটা বেতনের লোভ দেখিয়ে বসিরহাটের কয়েকটি হোটেলে দেহব্যবসা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। বসিরহাটের এসডিপিও অশিষ মৌর্যের নেতৃত্বে অভিযান চলে। সেই মতো গভীর রাতে বসিরহাটে একটি হোটেলে অতর্কিতে হানা দেয় পুলিশ। হোটেলে ঢুকে কার্যত চক্ষু চড়ক অবস্থা পুলিশের। দেখা যায় সেখানে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবস্থা।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ জন মহিলাকে। উদ্ধার হওয়া মহিলাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কোথা থেকে তাঁরা এসেছে, জোর করে নিয়ে আসা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই সমস্ত এলাকায় হোটেলগুলিতে মধুচক্র চালানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ফলে আরও নজরদারী বাড়ানো হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।