Sharing is caring!
ক্রীড়া ডেস্ক : সোমবার হঠাৎ ধর্মঘটের ডাক ক্রিকেটারদের। এরপর অবিশ্বাস-অনিশ্চয়তা আর রুদ্ধশ্বাসের ৫৬ ঘণ্টা। নানা নাটকীয়তা শেষে বুধবার রাতে এলো ঘোষণা, বোর্ড ও ক্রিকেটারদের যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হলো মাঠে ফিরছে ক্রিকেট, ভারত সফর যে অনিশ্চয়তার গুঞ্জন চলছিল তাও নাকি কেটে গেছে।
শুক্রবার দেখা যায় তার প্রতিফলনও। ভারত সফরকে সামনে রেখে অনুশীলনে ফেরেন ক্রিকেটাররা। সেখানেও নেই সাকিব, তিনি তাহলে কোথায়? জানা গেল অসুস্থতার কারণে আসেননি তিনি। দ্বিতীয় দিনে দলের সঙ্গে যোগ দিলেও রোববার অনুষ্ঠিত হওয়া প্রস্তুতি ম্যাচের খেলোয়াড় তালিকায় নাম থেকেও মাঠে নামেননি সাকিব।
মিরপুরে যখন লাল ও সবুজ দুই দল মাঠে নেমেছে, ঠিক সেই সময়ে সাকিব ব্যস্ত ছিলেন গ্রামীনফোনের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে। পরে জানা গেছে সোমবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও অংশ নিবেন না তিনি।
সোমবার এক জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাজমুল হাসান পাপন দিলেন আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ছুটি নেয়া তামিম ছাড়াও আরও এক ক্রিকেটার ভারত সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে ধারণা তার।
পাপন বলেন, ‘তামিম আমাকে প্রথমে বলেছিল ও ভারতের শেষ টেস্টটা খেলতে চাইছে না, কারণ ওই সময় ওর বাচ্চার ডেলিভারি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তামিম আমার রুমে গিয়ে বলল, ‘আমি যাব (ভারতে) না।’ আমি বললাম, ‘মানে কি, তোমার সঙ্গে তো কথা হলো শেষেরটায় থাকবে না। তাহলে এখন যাবা না কেন?’ ও তবু বলল, ও যাবে না। এখন সফরে যাওয়ার আগমুহূর্তে যদি শুনি আর কেউ যাবে না, তাহলে কেমন লাগবে? আমার তো বদ্ধমূল ধারণা যাবে না এবং এমন এক সময় বলবে, যখন আমাদের কিছু করার থাকবে না।’
কে করতে পারে এ রকম? এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘আমি তো জানি না। সাকিবকে ডেকেছি আজ (গতকাল)। দেখি ও কী বলে। আরও অনেকে হতে পারে। আমি জানি না কারা। তবে তথ্য ছিল ওরা যাবে না। এখন তো ঘুরে গেছে পরিস্থিতি। ওরা হয়তো ভাবেনি এত তাড়াতাড়ি সব শেষ হয়ে যাবে। আমি কোনো বিশ্বস্ত সূত্র থেকে শুনে বলছি না। তবু ৩০ তারিখ যদি ওরা বলে যাবে না, তখন কী করব? তখন তো পুরো কম্বিনেশন বদলাতে হবে। আমি তখন অধিনায়ক কোথায় পাব! এদের নিয়ে আমি কী করব বলেন?