Sharing is caring!
এম এ সালাম রুবেল, ঠাকুরগাঁওঃ ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের কদম রসুল হাট আনছার এন্ড পাবলিক ক্লাব প্রতিবছরের ন্যায় এবারো আয়োজন করেছে ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় খেলা হাডুডু। আধুনিকতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে শিশু কিশোরদের মধ্যে আসছে নতুন নতুন খেলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার ও ঘরে ঘরে ভিডিও গেমের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সব ধরনের খেলাধুলা। মহাকালের পাতা থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ খেলা। মাদককে না বলি ও মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে শুক্রবার বিকালে কদম রসুল হাট আনছার এন্ড পাবলিক ক্লাব মাঠে প্রথম সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেমিফাইনালে সালান্দর ক্রীড়া একাদশ ও কাচারী বাজার যুব সংঘ এ দুটি দল অংশ গ্রহন করে। খেলায় চলে দু’পক্ষের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রিয় হাডুডু খেলার সেমিফাইনাল উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে। কানায় কানায় ভরপুর হয় দর্শনার্থীদের ভীড়ে। খেলার উক্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাড়া মাঠে। খেলা শেষে জয়ী হয় সালান্দর ক্রীড়া একাদশ। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জুলফিকার আলী, নুরুল ইসলাম সাবেক চেয়ারম্যান ও সভাপতি ৪নং বড়গাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, ঠাকুরগাঁও সদর থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহারিয়ার সোহান,ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল প্রমুখ। উক্ত সেমিফাইনাল খেলায় সভাপতিত্ব করেন,জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন দুলাল। প্রধান অতিথি জুলফিকার আলী বলেন, আমাদের জাতীয় খেলা হাডুডু বা কাবাডি। কিন্তু কালক্রমে এই খেলার কদর দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। আগে স্কুল ভিত্তিক আন্তঃস্কুল বা থানা কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন চোঁখে পড়ত। বর্তমানে সেটাও চোখে পড়ে না। নতুন প্রজন্মের কাছে কাবাডি খেলাটি অপরিচিত হয়ে উঠছে। বিলুপ্তপ্রায় এই খেলাটি ধরে রাখার জন্যই যেন প্রতিবছর কাবাডি (হাডুডু) খেলার আয়োজন করা হয়। নতুন প্রজন্ম যাতে এই খেলা সম্পর্কে জানতে পারে এ জন্য এই খেলাটি প্রতিবছর চালিয়ে নিয়ে যেতে বলেন আয়োজকদের। খেলাটি পরিচালনা করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল,সঞ্চালনা করেন লুৎফর রহমান।