২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অনেক প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা পরের মুহূর্ত বেঁচে থাকব সেই নিশ্চয়তা ছিল না: চসিক মেয়র

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৫, ২০১৯
অনেক প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা পরের মুহূর্ত বেঁচে থাকব সেই নিশ্চয়তা ছিল না: চসিক মেয়র

Sharing is caring!

 

আব্দুল করিম, চট্রগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

আমি রাজনৈতিক কারণে অনেক প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা পেরিয়েছি। আমি যে পরের মুহূর্তে বেঁচে থাকবো সেই নিশ্চয়তা আমার ছিল না। বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ। সেই ধরনের কঠিন সময় পার করেছি।
আমি তখন তো পান-সিগারেটও খাইনি। হতাশার কারণে আমাকে মদ খেতে হবে, নেশাদ্রব্য গ্রহণ করতে হবে এ বক্তব্যের সঙ্গে আমি শতভাগ ভিন্নমত পোষণ করি।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বান্ডেল সেবক কলোনিতে যুব সমাজ রক্ষায় মাদক, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
সমবেত হরিজন সম্প্রদায়ের নারীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আপনারাই পারেন সমাজকে বদলে দিতে। মায়েরা পারেন, বোনেরা পারেন। মাদকাসক্ত, বিপথগামী স্বামী, ভাইকে বোঝান, মাদক, নেশায় যে টাকা ব্যয় হচ্ছে তা দিয়ে নিজেরা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন। বিনামূল্যে কি নেশা পায়? যারা মাদকাসক্ত আছেন সংশোধন হয়ে যান। আপনারা যদি মনে করেন, নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার টাকা নেই, তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি ও চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করবো। আপনারা তালিকা দেবেন। আমি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবো, পুরো চিকিৎসার ব্যয় আমরা বহন করবো। আমি চাই না কাউকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাক, জেল খাটুক। আমি জোর করে কিছু করার পক্ষে নই।
মেয়র বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ৫-৭ বছর পর বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। এখন দেশে ২১ শতাংশের নিচে দারিদ্র্যের হার, সাড়ে তিন কোটি মানুষ প্রায়। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগে গরিব ছিল ৪২ শতাংশ। বর্তমান সরকারের মেয়াদে দারিদ্র্যের হার আরও ৬-৭ শতাংশ কমে আসবে। এভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হবে। দেশের সবচেয়ে বড় স্পেশাল ইকোনমিক জোন বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে মিরসরাইতে। প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যাদের কাজ করার মানসিকতা থাকবে সবাই কাজ পাবে। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবে। একটু ধৈর্য ধরুন। নিরাশ হওয়ার কোনো কিছু নেই। আমাদের দুটো হাত, দুটো পা, মস্তিষ্ক দিয়েছেন। এগুলো ব্যবহার করলে ভালো থাকবেন, সুখে থাকবেন।
তিনি বলেন, যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন আমি করবো। আমার আমলে দুইবার সেবকদের বেতন বাড়িয়েছি। স্থায়ী-অস্থায়ী সবাইকে বৈশাখী ভাতা দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে আরও সুবিধা বাড়ানো হবে। বহুতল আধুনিক আবাসিক ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লিফট সুবিধা থাকবে। সিটি করপোরেশন আপনাদের বিদ্যুৎ বিল দেবে। আপনারা সিটি করপোরেশনের কাজে সহযোগিতা করবেন। এ দেশটা আমাদের। যার যার দায়িত্ব সততা, স্বচ্ছতা ও সঠিকভাবে পালন করবেন। সবাই এগিয়ে এলে পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও বাসযোগ্য দেশ হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বলেন, বহিরাগতরা এসে রাতে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা বিক্রি করে। জুয়ার আসর বসায়। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিরোধ করবো। আপনারা গোটা শহর পরিষ্কার করেন, এখন নিজের ঘর পরিষ্কার করতে হবে। নিজের স্বামী-ছেলেকে মদ, জুয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।