২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নগরীর সুরমাপাড় দখল সিসিকের বাণিজ্য পুলিশের

admin
প্রকাশিত জুন ৮, ২০১৯
নগরীর সুরমাপাড় দখল সিসিকের বাণিজ্য পুলিশের

Sharing is caring!

সুমন আহমদ, সিলেট জেলা প্রতিনিধি :

সিলেট নগরীর সুরমার পাড় সংলগ্ন সৌন্দর্য্য প্রতিদিনই আকৃষ্ট করছে দর্শনার্থীদের। যান্ত্রিক নগরীর বিনোদনপ্রিয় সিলেটবাসীর সাথে এই স্থানটি যুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। পড়ন্ত বিকেলে নগরীর এই স্থানটি হয়ে উঠে সকল নগরবাসীর বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র। বিশেষ করে যেকোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে এই স্থানটিতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

সুরমাপাড়ের সেই সৌন্দর্য এখন দর্শনার্থীদের কাছে টানেনা। পাল্টে গেছে সুরমার চিরচেনা সেই রূপ। নগরীর প্রাণকেন্দ্রের অবকাশ যাপনের এই স্থানটি এখন ধারণ করেছে ভিন্নরূপ। প্রশস্থ খোলা জায়গায় দিব্যি গড়ে উঠেছে চায়ের দোকান। রয়েছে সারি সারি চটপটির দোকান। নগরবাসী হাটচলার জায়গায় বসানো হয়েছে চেয়ার টেবিল। অভিযোগ রয়েছে- কতোয়ালী থানা পুলিশ এই সব দোকান থেকে মাসোয়ারা তুলে নিচ্ছেন। প্রতিদিন কতোয়ালীর থানাকে দোকান প্রতি ৩০০ টাকা করে দেন ২১ টি চটপটির দোকান মালিক ।

শাহজালাল চটপটি দোকানের মালিক ফারুক আহমেদ জানান ,প্রতিদিন কতোয়ালীর থানাকে দোকান প্রতি ৩০০ টাকা করে ২১ টি চটপটির দোকান মালিক । চটপটির দোকানদারা সিটি কপোরেশনের লাইটপোষ্ঠ থেকে তার টেনে অবৈধ বিদু্ৎ সংযোগ নিয়েছেন।
তাছাড়া, অবকাশ যাপনের মুল রাস্তার এক অংশে শোভাপাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশনের ট্র্যাাক ও লরি। প্রায় ১৫/২০ টি ট্র্যাাক লরি এই স্থানে থাকার দৃশ্যটি নতুন নয়। দর্শনার্থীরা এই নিয়ে ক্ষোভ দেখালেও সিসিক বিষয়টি না দেখার ভান করছে।

উপশহরের রিনা বেগম বলেন, সিলেটে লোকজন বাড়ছে সাবেক অর্থমন্ত্রী উন্নয়নের জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্ধ দিয়েছিলেন কিন্ত এত টাকা গেল কই বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্টামন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সহজ সরল ভাল মানুষ তিনি সিলেটের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন । আর আমাদের মেয়র আরিফ চৌধরী হকার উচ্ছেদে ব্যস্ত মিডিয়া আরিফ সাহেকে ভাল কাভারেজ দেয় কিন্ত আরিফ সাহেব নিজেই সিটি কপোরেশনের অবৈধ গাড়ির পাকিং করেছেন এখন আমরা কার কাছে দাবী জানাব!
জানাগেছে, ২০০৬ সালে নগরবাসীর অবকাশ যাপনে তৈরী হয় সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। সিসিকের তত্বাবধানে ২০০৮ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মোহিত এটিকে আরো সংস্কার করেন।