২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

টাংগাইলে ঘুষ গ্রহনকালে রাজস্ব কর্মকর্তা আটক

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০১৯
টাংগাইলে ঘুষ গ্রহনকালে রাজস্ব কর্মকর্তা আটক

Sharing is caring!

 

কেএম সুজন, টাংগাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌসকে মঙ্গলবার(২২ অক্টোবর) দুপুরে ঘুষের ১৫ হাজার টাকা সহ গ্রেপ্তার করেছে দুদক। গ্রেপ্তারকৃত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌস রাজশাহী জেলার রাজপাড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোসলেম আলীর ছেলে।

জানাগেছে, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার কয়ড়া গ্রামের স্বর্গীয় মনিন্দ্র পালের ছেলে গোবিন্দ কিশোর পাল তার মুক্তা ফুড প্রডাক্টসের নিবন্ধনের জন্য টাঙ্গাইল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কার্যালয়ে যান। ওই কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌসের সাথে তার আলাপ হয়। এ সময় নিবন্ধন করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

মায়ের অসুস্থতার জন্য গোবিন্দ কিশোর পাল ১৫ হাজার টাকায় মুক্তা ফুড প্রডাক্টসের নিবন্ধন করে দেয়ার অনুরোধ করেন। এতে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌস রাজি হয়ে গোবিন্দ কিশোর পালের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। টাকা পেয়েও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌস মুক্তা ফুড প্রডাক্টসের নিবন্ধন করে দিতে গড়িমসি করেন। এক পর্যায়ে গোবিন্দ কিশোর পাল দুর্নীতি দমন কমিশনের টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে জানান।

খবর পেয়েই দুদক টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান টাঙ্গাইল কাস্টম, এক্সাইজ ও ভাট কার্যালয়ের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌসকে চ্যালেঞ্জ করেন। এ সময় ঘুষ হিসেবে নেয়া টাকার নম্বর বলার পর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌস তার কাছে থাকা টাকা বের করে দেন। ওই টাকায় গোবিন্দ কিশোর পালের দেয়া নম্বর মিলিয়ে ১৫টি এক হাজার টাকার নোটে ১৫ হাজার টাকা জব্দ এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

মুক্তা ফুড প্রডাক্টসের স্বত্ত্বাধিকারী গোবিন্দ কিশোর পাল জানান, নিবন্ধনের জন্য সাহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌস ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ১৫ হাজার টাকা দেয়ার পরেও তিনি নিবন্ধন করে দিতে গড়িমসি করেন। সন্দেহ হওয়ায় টাকা দেয়ার আগে তিনি প্রতিটি এক হাজার টাকার নোটের নম্বর লিখে রেখেছিলেন।

দুদক টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তাদের কাছে অভিযোগ ছিল নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় ১৩ ডিজিটের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ঘুষ দাবি করছে ভ্যাট কর্মকর্তা। এ খবরের ভিত্তিতে তারা টাঙ্গাইল কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ঘুষের ১৫ হাজার টাকা সহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে ফেরদৌসকে তারা গ্রেপ্তার করেন।