Sharing is caring!
এবছর জোছনা উৎসব হবে ১৩ নভেম্বর বুধবার। বরগুনার তালতলী উপজেলার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে বর্নাঢ্য উৎসবের আয়োজন চলছে। বরগুনা থেকে দুটি এবং আমতলী থেকে একটি বড় লঞ্চ জোছনা প্রেমীদের নিয়ে যাবে উৎসবস্থলে। জোছনা উৎসবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকবে পুতুল নাচ ও যাদু প্রদর্শনী।
জোছনা উৎসব কী, কেন এবং কীভাবে আসবেন ?
শহুরে সভ্যতায় হয়তো পেয়েছেন আপনি সব কিন্তু হারিয়েছেন কী- কখনো কি ভেবে দেখেছেন? শ্রাবণের জলে সর্বাঙ্গ ভিজায়েছেন কবে- মনে পড়ে?
শরতের শিশিরে নগ্ন পায়ে হেঁটেছেন কবে সেই স্মৃতি জানি ভুলেই গেছেন। মোম-জোছনায় চোখ-মন ভরানো হয় না কতকাল তা আপনার চেয়ে ভালো আর কে জানে! তাইতো আমাদের এই আয়োজন, “জোছনা উৎসব”।
ত্রিমোহনার রূপালি জলরাশি ঘেঁষে বিস্তীর্ণ সৈকতে বসে হৈমন্তী পূর্ণিমা দেখে আপনি শিহরিত হবেনই। জোছনাপাগল হাজারো মানুষের সাথে গান, কবিতা, পুঁথি, জারি সারি শুনে/শুনিয়ে মুগ্ধ আপনাকে হতেই হবে।
এবারে বরগুনার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর যেখানে সাগরে মিশেছে ঠিক সেখানে; নবগঠিত তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের স্নিগ্ধ বেলাভূমি- ‘শুভসন্ধ্যার’ বিস্তীর্ণ বালুচরে পঞ্চমবারের মত এ উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
একদিকে সীমাহীন সাগর। আরেকদিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিড়ি। একদিকে দীর্ঘ ঝাউবন, আরেকদিকে তিন তিনটি নদীর বিশাল জলমোহনা। সবমিলিয়ে নদ-নদী আর বন-বনানীর এক অপরূপ সমাহার- শুভ সন্ধ্যার চর। আসছে পূর্ণিমায় এখানেই জলজোছনায় একাকার হবে জোছনাবিলাসী হাজারো মানুষ।
অভিজ্ঞতা আর স্মৃতিকে সমৃদ্ধ করতে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে চলে আসুন নলবুনিয়া শুভসন্ধ্যা সৈকতে, বরগুনার জোছনা উৎসবে।