২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিয়ে রেজিষ্ট্রি চ্যালেঞ্জ করে মেয়ে ও কাজীসহ ৮জন কে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
বিয়ে রেজিষ্ট্রি চ্যালেঞ্জ করে মেয়ে ও কাজীসহ ৮জন কে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের

জাহিদুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বড়ছত্রগাছা গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে রেজিষ্ট্রিমুলে বিয়ে করে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ধাপেরহাট ছোটছত্রগাছা গ্রামের মৃত: সাদা মিয়ার মেয়ে শাপলা আক্তার বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালত গাইবান্ধায় একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে জয়নাল আবেদীন ২৯আগষ্ট তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ও বিয়ে রেজিষ্ট্রি সম্পুন্ন মিথ্যা এবং ভূয়া দাবী করে শাপলা আক্তার ,কাজী ও স্বাক্ষীসহ ৮জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালত গাইবান্ধায় একটি সি,আর,পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যাহার নং অন্য-৩২/১৯। মামলার এজাহার সূত্রে জনাযায়,বাদী জয়নাল আবেদীন ও ১নং বিবাদী শাপলা আকতার পাশাপাশী গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় পূর্ব পরিচিত ছিল। এরই সুবাদে ১নং বিবাদী শাপলা আক্তার ঈদুল আযহার পরদিন হঠাৎ করেই বাদীর পৈত্রিক নিবাস বড়ছত্রগাছা গ্রামে উপস্থিত হয়ে বাদীকে স্বামী দাবি করে। ইহাতে বাদী প্রতিবাদ করিলে শাপলা কাবিননামার ও এভিডেভিটের ফটোকপি বাদীর পিতাকে দেখান এবং স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে মিথ্যা মামলা করার ভয় দেখিয়ে বাড়ীতে চলে আছে। গত ২০ আগস্ট/১৯ইং তারিখে বাদী জয়নাল আবেদীন ৮নং বিবাদী কাজীর বরাবরে নিকাহ নামা সঠিকতা যাচাই করণের জন্য আবেদন করিলে কাজী মোহাম্মদ আলী প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করে বলেন যে, নিকাহনামাটি তিনি সম্পাদন করেন নাই, কে বা কাহারা তার স্বাক্ষর ও সীল নকল করে নিকাহনামাটি তৈরি করেছেন। এছাড়াও বাদী বলেন এভিডেভিটে তার বয়স ২২ বছর দেখানো হয়েছে, যা আদৌ সঠিক নহে, তার বয়স বর্তমানে জাতীয় পরিচয় পত্রে ৩০ বছর চলছে। উক্ত বিষয়ে শাপলা জানান, জয়নাল আমাকে বিয়ে করে এখন অস্বীকার করছে। তাই সু-বিচার পাওয়ার আশায় আমি মামলা করেছি। বাদী জয়নাল আবেদীন বলেন, তার সঙ্গে আমার পরিচিয় ছিল, তবে বিয়ে হয় নাই। তাই বিয়ে রেজিষ্ট্রি চ্যালেঞ্জ করে, শাপলা,কাজী ও স্বাক্ষী সহ ৮জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাদুল্লাপুর থানার ওসি তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উক্ত বিষয়ে উভয় পক্ষই পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। কে সত্য কে মিথ্যা তদন্তের পর বোঝা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30