৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

চার পেসার নাকি দুই স্পিনার?

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
চার পেসার নাকি দুই স্পিনার?

Sharing is caring!

অভিযোগ ডেস্ক :: তিন পেসার, এক স্পিনার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে সবশেষ দেখায় এক বোলার কম নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। অনিয়মিত বোলার আফিফ হোসেন ধ্রুব এসেই সাফল্য না পেলে বিপদ বাড়তে পারত টাইগারদের। মিরপুরে মঙ্গলবারের ফাইনালে অবশ্য স্বীকৃত পাঁচ বোলার নিয়েই নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

পেসার বাড়ানো হলে অনুমেয়ভাবেই রুবেল হোসেন ফিরবেন একাদশে। আর স্পিনার হলে তাইজুল ইসলাম। অভিষেকে আলো ছড়ানো লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব চোটে থাকায় তাকে টেনে ঝুঁকি নেয়ার পক্ষে নন ডমিঙ্গো

‘তার বাঁ-হাতে তিনটি সেলাই পড়েছে। যদিও তার বোলিং হাতে ইনজুরি নয়। তারপরও, কোচ হিসেবে আমি কখনোই এমন কাউকে খেলাতে চাই না, যার কোনো ধরনের চোট আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো ক্যাচ তার কাছে আসতে পারে। প্রথম বলেই হয়ত ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাতে লেগে তার সেলাই খুলে যেতে পারে। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবার ব্যাপার আছে। সবসময় চাই শতভাগ ফিট ১১ জনকে নিয়ে নামতে। আমার মতে, আমিনুল বা যেকারও বিকল্প আমাদের দলে আছে। মনে হয় না, হাতে সেলাই নিয়ে ফাইনালে ওকে আমরা খেলতে দেখব।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে শিরোপা লড়াই। চট্টগ্রামের চেয়ে মিরপুরের উইকেটে স্পিনে বেশি সহায়তা মিলবে, অতীত অভিজ্ঞতা সেটাই বলে! তবে যে উইকেটে খেলা হবে সেখানে ঘাসের উপস্থিতি দলের মাঝে নিয়ে এসেছে চার পেসারের ভাবনাও।

‘সম্ভবত একজন বাড়তি পেসার নিয়ে আমরা ১২ জনের দল গড়ব আজ, কালকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে উইকেট দেখে। অবশ্যই এই জায়গাটি আমরা কাজে লাগাতে পারি। আজকে উইকেটে খানিকটা ঘাস আছে, বাউন্স মিলতে পারে। চার পেসার তাই ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে কালকে উইকেট-কন্ডিশন দেখে সিদ্ধান্ত হবে।’ হেড কোচের ভাবনা প্রকাশ এমনই।

‘আমি জানি, এটি(চার পেসার) ঠিক বাংলাদেশের ধরন নয়। আমাদের ভাবনায় সবসময় থাকে আমরা বিশ্বকাপ কোথায় খেলব। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলব আমরা, সেখানে ১-২ জন পেসার খেলানোর সম্ভাবনা দেখি না। অন্তত তিনজন তো বটেই, চার পেসারও খেলানো হতে পারে। এখন জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই, পাশাপাশি ভবিষ্যতের পথচলা নিয়েও ভাবতে হবে। খুব সূক্ষ্মভাবে সমন্বয় করতে হবে এটি। সাউথ আফ্রিকা হিসেবে আমি সবসময়ই ৪ পেসার খেলাতে পছন্দ করি। তবে এখানকার সংস্কৃতিও বুঝি। এই দলের শক্তি যে স্পিনে, সেটি জানি। কোচ হিসেবে তাই দুটির সমন্বয়ের চেষ্টা করছি।’

‘চট্টগ্রামের উইকেটে বরাবরই স্পিন বেশি ধরে না। ঢাকার উইকেটে স্পিনারদের সহায়তা একটু বেশি থাকবে। এটি অবশ্যই আফগানিস্তানকে সুবিধা দেবে। তবে আমাদেরও সুবিধা দেবে। আমাদের দলেও বেশকজন ভালো স্পিনার আছে। মনে হচ্ছে, এখানকার উইকেটে স্পিনারদের জন্য একটু বেশিই সহায়তা থাকবে।’ বাংলাদেশের সাউথ আফ্রিকান কোচের পর্যবেক্ষণ এমনই।