২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি ‘নিখোঁজ’

admin
প্রকাশিত জুন ৩, ২০১৯
ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি ‘নিখোঁজ’

Sharing is caring!

ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি ‘নিখোঁজ’

বিশেষ প্রতিনিধি:  ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি ‘নিখোঁজ’। সাত দিন আগে আদালত থেকে ফেনীর পুলিশ সুপারের ঠিকানায় পরোয়ানাটি পাঠানো হলেও তিনি তা পাননি বলে জানিয়েছেন।
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার বাদী বলছেন, মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তারে পুলিশ যত গড়িমসি করবে, তাদের প্রতি মানুষের অনাস্থা ততই বাড়বে।
গত ২৭ মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়। ওই দিনই আদালত মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু সাত দিন পরও সেই পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছায়নি বলে দাবি পুলিশের।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বলেন, চিঠি পৌঁছাতে এক দিন, বড়জোর দুই দিন লাগতে পারে। এত দিন লাগার কোনো কারণ নেই। পরোয়ানা যেদিন জারি হয়েছে, সেদিনই ফেনীর পুলিশ সুপারের ঠিকানায় সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিঠির স্মারক নম্বর ৬৬৯।
ফেনীর পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সোনাগাজী থানার ওসি মঈনুদ্দীন আহমেদ জানান, পরোয়ানার চিঠি তাঁদের কাছে পৌঁছায়নি। এমনকি রংপুর রেঞ্জেও পরোয়ানা পৌঁছায়নি। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য। সাময়িক বরখাস্তের পর মোয়াজ্জেম হোসেন রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত আছেন। তবে তাঁর অবস্থান কোথায়, সে সম্পর্কে ফেনী বা রংপুর রেঞ্জ তথ্য দিতে পারেনি।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ সূত্র বলেছে, মোয়াজ্জেম হোসেন মামলার কাজে ঢাকায় আছেন। গত ২৯ মে আইনজীবী সালমা সুলতানার মাধ্যমে তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদনও করেছেন। এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও মোয়াজ্জেমকে পাওয়া যায়নি।
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে গেলে মোয়াজ্জেম তাঁর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাতকে বেশ কিছু আপত্তিকর প্রশ্ন করেন তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যুর পর ভিডিওটি ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।