২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

পটুয়াখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে এতিম পরিবারকে মিথ্যা ছিনতাই মামলায় হয়রানির অভিযোগ

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
পটুয়াখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে এতিম পরিবারকে মিথ্যা ছিনতাই মামলায় হয়রানির অভিযোগ

এস আল-আমিন খানঁ, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নে জামুরা গ্রামের রাসেল হাওলাদার অভিযোগটি করেন তিনি বলেন,আমি এতিম অসহায় বলে জোর পুর্বক আমার সম্পতি দখল করে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বার বার মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।আমাদের সাথে জমি সংক্রান্ত ঝামেলা থাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনার নাটক সাজিয়ে থানায় মিথ্যে মামালা দায়ের করেছে একই গ্রামের ফকু হাওলাদার।গত ২২ আগস্ট আমাদের সাথে তাদের শালিশ মিমাংশার কথা ছিলো কিন্তুু সে আসেনি এবিষয় নিয়ে পটুয়াখালী পৌরসভাধীন নতুন বাজার লাউকাঠী খেয়াঘাট বসে তার সাথে কথার কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে সে উত্তেজিত হয়ে খারাপ আচারন করে তখন দুজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হলে অত্র স্থানে হক মেডিকেল হলের মালিক আব্দুল ছত্তার ফকির(৭০) এবং স্থানীয় লোকজন আমাদের দুজকে ছাড়িয়ে দেয়।উপস্থিত সকলের সামনেই সে চলে যায়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনদিন পর নাটকীয় কায়দায় তাহার মেয়ে মোসাঃ আফসানা বেগমের গলায় আঘাত দেখিয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় আমাদের তিন জনকে আসামি করে ফকু হাওলাদার (৪৮),পিতাঃ নুর মোহাম্মদহাওলাদার বাদী হয়ে একটি সাজানো ছিনতাইয়ের মিথ্যে মামলা করে,যাহাতে আসামি করা হয় ১। রাসেল হাওলাদার (২৪),পিতাঃ মৃতঃ আব্দুল রাজ্জাক হাওলাদার, ২।মেনাজ সিপাই (৫৫),পিতাঃ মৃত আয়জদ্দি সিপাই, ৩। মুছা হাওলাদার (৩০),পিতাঃ মৃতঃ আব্দুল ছত্তার হাওলাদার সহ আরো অজ্ঞাত ৪-৫ জন এবং মামলায় উল্লেক্ষিত বিষয়ে বাদীকে মারধর করা তার মেয়ে আফসানা বেগমকে গলায় ওড়না পেচিয়ে মারার চেস্টায় গুরত্বর জখম করা এবং তার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ও বাদীর কাছে থাকা নগত টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাকে সম্পুর্ন বানোয়াট মিথ্যে ও ভিত্তিহীন দাবি করে রাসেল মিডিয়াকে বলেন, ফকু হাওলাদার বহুবছর ধরে আমাদের জমি জোর করে ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তাদের জনবল বেশী থাকায় পেশী শক্তি প্রয়োগ করে আমাকে বার বার মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।কোন শালিশ মিমাংশা মানে না সে এমনকি আমাকে বিভিন্ন সময় খুনের হুমকি দেয়।এবং বর্তমানে আমাকে মিথ্যে ছিনতাই মামলায় আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে।ঘটনা অনুসন্ধানে সরেজমিনে গেলে মামলার ১ নং সাক্ষী আব্দুল ছত্তার ফকির(৭০)সহ স্থানীয় লোকজন পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন,আমরা শুধু তাদের সাথে জমির ব্যাপারেে কথার কাটাকাটি ধাক্কাধাক্কি হতে দেখেছি এছাড়া কোন মেয়েকে মারধর কিংবা গলার চেইন ছিনতাই বা চাকু দিয়ে আঘাত এসব কিছুই এখানে ঘটতে দেখিনি।এবিষয়ে বাদী ফকু হাওলাদার ও তার মেয়ে আফসানার কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,২২ আগস্ট আসামিরা আমাদের উপরে হামলা করে আমাদের মারধর করে এবং আফসানার গলায় ওড়না পেছিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেস্টা করে এতে তার গলায় গুরুতর আঘাত হয়েছে হামলার সময় আমাদের কাছে নগত ৪২,০০০ হাজার টাকা ও গলায় ১০ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাদের প্রানে মারার হুমকি দেয় তাই আমরা থানায় মামলা করেছি।কিন্তুু মামলার ১ নং সাক্ষী সত্তার ফকির বলেন,আমি শুধু তাদের ছাড়িয়ে দেই তখন ফকু হাওলাদারের সাথে কোন মেয়েকে দেখিনি আর এধরনের কোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে দেখিনি।এব্যাপারে সদর থানার এস,আই মোখতার হোসেন বলেন মামলার তদন্ত ভার আমাকে দেয়া হয়েছে বর্তমানে তদন্তের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,যেহেতু মেয়েটির গলায় আঘাতের চিন্হ রয়েছে এবং হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এজন্য মামলাটি এজাহার ভুক্ত করে আমাদের তদন্ত চলমান রেখেছি মেডিকেল রিপোর্ট আর তদন্ত সম্পুর্ন হলেই ঘটনার সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031