৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে

অভিযোগ
প্রকাশিত মার্চ ২৫, ২০২৪
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার( টাংগাইল): টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। গণহত্যা দিবস

উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ)২০২৪ ইং সকালে নাগরপুর উপজেলার বনগ্রাম গণকবরে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দোয়া করা হয়।

পুস্পস্তবক অর্পণ ও দোয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান, নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম জসিম উদ্দিন, নাগরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সরোয়ার ছানা, বনগ্রাম শহীদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলুর রহমান , বনগ্রান গণকবর পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ হোসেন আলী, বনগ্রাম ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদক ওয়ার্ড মেম্বার সহ-গ্রামবাসী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে নাগরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান এর সভাপতিত্বে গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, নাগরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছামিনা বেগম শিপ্রা,সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সরোয়ার ছানা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছামিনা বেগম শিপ্রা, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম সবুজ,ইউপি সদস্যা হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

এ সময় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য:১৯৭১ সালের এই দিনে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রাম (২৫ অক্টোবর) বর্বরোচিত হামলা করে পাক -হানাদার বাহিনী।হামলায় নিরীহ গ্রামবাসী সহ ৫৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা সহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় বসত বাড়ি।সেই সাথে পুড়িয়ে মারা হয় অসংখ্য অসহায় গবাদি পশু।এমন হত্যা যজ্ঞ শেষে পাক হানাদার বাহিনী চলে গেলে গ্রামবাসীর সহায়তায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া হয় গণকবর।সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনে (২৫ মার্চ) শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতে মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা প্রশাসন ও নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সহ গ্রামবাসীরা ছুটে যান এ গণ কবরে। সূত্র মতে, ১৯৭১ সনের ২১ অক্টোবর বনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে টাংগাইল ও সিরাজগঞ্জ থেকে গান-বোট নিয়ে বনগ্রাম পাক হানাদার বাহিনী যৌথভাবে আক্রমণ চালায় । শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। এ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর ১ জন মেজর সহ ৩ জন নিহত হয়। পরবর্তী সময়ে পাক সেনারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ২৫ অক্টোবর রাতে বনগ্রাম চালায় নরকীয় হত্যাকাণ্ড জ্বালিয়ে দেয় ঘরবাড়ী।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031