৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সাংবাদিক এ-র ৬ মাসের জেল,ন্যায় বিচারের জন্য প্রধান বিচার পতির দৃষ্টি কামনা করছেন মানবাধিকার সংগঠন

অভিযোগ
প্রকাশিত মার্চ ১২, ২০২৪
সাংবাদিক এ-র ৬ মাসের জেল,ন্যায় বিচারের জন্য প্রধান বিচার পতির দৃষ্টি কামনা করছেন মানবাধিকার সংগঠন

স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুর জেলায় ‌তথ্য চাওয়ার অপরাধে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা কে গ্রেফতারের পর তড়িঘড়ি করে সাংবাদিকের আইনজীবী ছাড়াই তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিলেন ইউএনও যাহা অত্যন্ত দুঃখজনক, কারণ বাংলাদেশের সংবিধানে সকল মানুষের জন্য ন্যায় বিচারের অধিকার রয়েছে, সেই ক্ষেত্রে সাংবাদিকের পক্ষে একজন আইনজীবী উপস্থিত থাকার প্রয়োজন ছিল বলে অনেকে মনে করছেন।

ইহা ছাড়া আমাদের বাংলাদেশের সম্মানিত সিনিয়র গণমাধ্যম নেতারা বলছেন একজন সাংবাদিক বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিষয় ব্যতীত ‌ যেকোনো বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের যেকোন কর্মকর্তা কর্মচারীর কাছে তথ্য চাইতে পারেন এতে দোষের কোন কিছুই নেই,, তাই আমরা উত্তর সাংবাদিকের সাজার বিষয়টি পূর্ণ বিবেচনা করে মুক্তির দাবি করছি।

কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে শেরপুরের নকলা উপজেলায় শফিউজ্জামান রানা নামে এক সাংবাদিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। (৫ মার্চ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ। এসময় ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন ওই সাংবাদিকের ছেলে শাহরিয়ার মাহিনকে ‘ব্যঙ্গ করে অসম্মানিতভাবে কথা বলেন‌‌ যাহা অত্যন্ত দুঃখজনক।

শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে দৈনিক দেশ রূপান্তরের নকলা উপজেলা সংবাদ দাতা শফিউজ্জামান রানার ছেলে শাহরিয়ার জামান মাহিন (১৫) সঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীরা ‌কথা বললে তিনি বলেন, সেদিন বাবার সঙ্গে আমিও গিয়েছিলাম, আব্বু তথ্যের জন্য একটি কাগজ নিয়ে গিয়েছিলেন। কাগজ নিয়ে যাওয়ার পর অফিসের এক স্টাফকে আব্বু বলছিলেন কাগজে স্বাক্ষর করে দিতে। পরে ওই স্টাফ বলেন, ইউএনও স্যার মিটিংয়ে আছেন, আপনি একটু বসেন। পরে আব্বু বলেন, আমার জরুরি একটু শেরপুর যেতে হবে, আপনি একটু দেখেন। তারপর ওই স্টাফ বলেন কীসের যেন ফি লাগবে। আব্বু বলেন, কোন নিয়মে তো এই ফি নেই- যদি লাগে তবে আমি দিবো।

এরপর আব্বু ফোন করে ফি বাবদ টাকার বিষয়ে কাকে যেন জিজ্ঞেস করছিলেন। তখন ইউএনও ম্যাডাম মিটিং ছেড়ে এসে বলেন, চোরকে এখানে কে ঢুকতে দিয়েছে, পুলিশ ডেকে তাকে গ্রেপ্তার করান এবং ঐ‌ সময় তিনি আমাকেও গালিগালাজ করেন।

তারপর তড়িগড়ি করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিহাবুল আরিফকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশনা দেন , তখনই ভূমি কমিশনার কিছু জিজ্ঞাসা না পরেই‌ সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।
তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে উক্ত বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করে সাংবাদিককে ‌ মুক্তি দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031