৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

রঘুনাথপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক লিছু মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

অভিযোগ
প্রকাশিত মার্চ ৩, ২০২৪
রঘুনাথপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক লিছু মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটু: গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড়স্থ রঘুনাথপুর মোহাম্মদ আলী হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লেছু মিয়ার বিরুদ্ধে ৬ বছর আগে অবসর নেয়া অফিস সহকারী মনিন্দ্র চন্দ্র সরকারকে দিয়ে এসএসসি দায়িত্ব পালন, অকেজো ল্যাপটব/কম্পিউটার জমা নেয়া, তিনমাসের মধ্যে অদ্যাবধী ক্লাসে শিক্ষার্থীদের রোল কল না করাসহ সেশন ফি’র নামে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে!

অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি রঘুনাথপুর মোহাম্মদ আলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শামছুল আলম সরকার অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের সময় তার পাহাড় পরিমান দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোন এক অশুভ শক্তির ইংগিতে সকল দুর্নীতি ফাইল চাপা দিয়ে ২/১ টা দৃশ্যমান‌ দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতির উদ্দেশ্যে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া একটি ভালো ব্রান্ডের সচল কম্পিউটারের স্থলে নিম্ন মানের অকেজো নষ্ট কম্পিউটার জমা দেন।

সুত্র জানায়, মোঃ লিছু মিয়া নামের ওই সহকারী প্রধান শিক্ষক সম্প্রতি উক্ত বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের সময়েও উল্লেখিত দুর্নীতির সিদ্ধহস্ত প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম সরকার ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ লিছু মিয়ার নামে দুর্নীতির বেশ রসালো গল্প শুনা গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি! বরং এই দুর্নীতির খতিয়ান সময়ের অতল গহ্বরে তলিয়ে গেলেও পুনরায় একটার পর একটা দুর্নীতির অভিযোগ এলাকার আকাশে বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে। তবে উল্লেখ যোগ্য দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় ছয় বছর আগে অবসরে যাওয়া অফিস সহকারী মনিন্দ্র চন্দ্র সরকারকে দিয়ে রঘুনাথপুর হাইস্কুলের শিক্ষক দেখিয়ে পিয়ারাপুর হাইস্কুল কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করান। বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসলে মনিন্দ্র চন্দ্র সরকারকে রঘুনাথপুর হাইস্কুলে থেকে আনা হয়। তিনি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রধান শিক্ষক মোঃ লেছুমিয়ার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।

সুত্র আরো জানায়, সম্প্রতি নুতন ক্লাসে উঠার সময়ে বিদ্যালয়ের কমপক্ষে আড়াই’শ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫’শ টাকা করে সেশন ফি’র নাম করে অভিনব পদ্ধতিতে আদায় করেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, উল্লেখিত সেশন ফি’র নামে টাকা নিয়ে একটি চিরকুট লিখে দেন এবং দুর্নীতির কোনো প্রমাণ যাতে বাহিরে চাউর না হয় বা অন্য হাতে চলে না যায় সেজন্য চিরকুট জমা দিয়ে বই নেয়ার পদ্ধতি চালু করেন।

সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক মোঃ শামসুল আলম সরকার অবসর গ্রহণ জনিত কারণে বিদ্যালয় থেকে বিদায় নেন। বিদায়ের সময় নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের কাগজপত্রসহ সকল প্রকার দ্রব্য সামগ্রী জমা দিবেন। তবে তিনি লোক দেখানো কিছু জমা দিয়েছেন। জমাকৃত পন্যের মধ্যে দুইটি ল্যাপটব রয়েছে। তিনি এই এই ল্যাপটব নিজ বাড়ি থেকে এনে জমা দেন। দৃশ্যমান‌ দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতির উদ্দেশ্যে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031