৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ভয়ংকর বংশীয় কিলার ও প্রশ্রয়দাতার অবিশ্বাস্য গোমর অনুসন্ধান !!

অভিযোগ
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
ভয়ংকর বংশীয় কিলার ও প্রশ্রয়দাতার অবিশ্বাস্য গোমর অনুসন্ধান !!

এস হোসেন মোল্লা: রাজধানীর দক্ষিণখানের কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সদস্য, সন্ত্রাসী ও বংশগত খুনি তৌফিক(১৬) জামিনে মুক্তি পেয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় সপরিবারে ত্রাসের সাম্রাজ্য গড়ে দাপটের সাথে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এমন ঘটনায় এলাকায় ভয়াবহতা ও চাঞ্চল্যতা বিরাজ করছে। খুনির গোষ্ঠীকে সুরক্ষার লক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য গোপন রেখে প্রশংসা মূলক বক্তব্য প্রদানে ব্যস্ত এমন একটি মুখোশধারী মহল যা অতিশয় অবিশ্বাস্য ও উদ্ভট বটেই!জটিল ও কুটিল অনুসন্ধানের মাধ্যমে এমনই মহাবিশ্বয়কর তথ্যের বাস্তবতা উৎপাটন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে প্রকাশ, গত ২৪শে আগস্ট সাধারণ শ্রমিক রাফসানকে(১৭) প্রকাশ্য দিন-দুপুরে উপস্থিত লোকালয়ে খুনি বংশধর, বখাটে ও লম্পট তৌফিক দক্ষতার সাথে পলকেই ধারালো চাকু দিয়ে বুকের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে খুন করে। এই খুনি বহুদিন আগে থেকেই নিয়মিত চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন জনের হাত-পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন, মাথা ফাটানো সহ উদ্ভট ঘটনা ও মারামারি-কাটাকাটিতেই গুরু দায়িত্ব পালন করে থাকলেও উক্ত খুনের মাধ্যমে সে তার বংশীয় ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা স্বরূপ নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান ও সুদক্ষ খুনি হিসেবে গর্বিত চিত্তে তালিকাভুক্ত হয়ে হালখাতার অশুভ সূচনা করে! এর পাশাপাশি নিয়মিত মাস্তানি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিতে এই নরপশু মহা কাজের কাজী যা তার বংশীয় মর্যাদার বা পরিচিতির ধারক-বাহক এবং একমাত্র নেশা-পেশা ! যেন নতুন যুগের মহা আতঙ্কের মুর্তমান প্রতীক বংশীয় কিলার তৌফিক!

জানা যায়, উক্ত খুনের ঘটনায় নিহতের মা কুলসুম বেগম দক্ষিণখান থানায় মামলা করেন (মামলা নং-২৯, তারিখ-২৪/০৮/২০২৩,ধারা – ৩০২ পেনাল কোড)।কুলসুম বেগম বলেন,আমরা খুবই অভাবী ও অসহায়। টাকার অভাবে ভালো কোনো উকিলের শরণাপন্ন আমরা হতে পারিনি। আমরা কি সুষ্ঠু বিচার পাবো না ? বুঝতে পারছি কারা যেন গোপনে আমাদের অনুসরণ করছে! যেকোন মুহূর্তে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যেতে পারে ! এলাকাবাসীরা জানান, ” অভিযুক্ত তৌফিক সরাসরি প্রকাশ্য খুনী যাতে মতানৈক্যের কোন সুযোগই নেই। তার বিচারের রায় শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হল,বংশীয় কিলার তৌফিক টাকার দাপটে জামিনে ছাড়া পেয়ে নতুন আমেজে টিকটক,হানিমুন,মাতব্বরি ও ভয়াবহ অপকর্মে ন্যাস্ত। প্রাণ ভয়ে কেউ কিছু বলতে নারাজ।

গোপন অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ ও গবেষণায় জানা যায়– কিলার তৌফিক এর বাবা মো: ইসলাম একজন কুখ্যাত খুনী ও দাগি আসামি। তৌফিকের আরেক চাচাতো ভাইও খুনের দাগী আসামি!রহস্যপূর্ণ কারণে তারা কেউই সাজা প্রাপ্ত হয়নি। খুনি ইসলামের ঔরসপুত্র কিলার তৌফিক নাকি তাদের বংশের উজ্জ্বল প্রদীপ! তার গর্ভধারিনী পরম ধন্যা ইয়াসমিন কিলার ছেলের দুঃসাহসী অপকর্মের কারণে যেন প্রশংসায় পঞ্চমুখ!যদিও কিনা মানুষ নামের ভয়ংকর দো-পায়া প্রাণী এই কিলার তৌফিক আতংক থেকে ক্রমান্বয়ে মহা আতংকের উদীয়মান কুৎসিত দৃষ্টান্ত বা উপাখ্যান বটেই!তারপরও এই কিলারের নিকৃষ্ট ও বিদঘুটে জ্ঞাতি-গোষ্ঠীর মতামতে জানা যায়, “তৌফিকের মত ভালো, সুবোধ ও ভদ্র ছেলে লাখে একটাও নাকি মেলে না!” সে আবার দক্ষিণখানের জামিয়া ইসলামিয়া গাওয়াইর মাদ্রাসার সুযোগ্য প্রাক্তন ছাত্রও বটেই!যদিও তার শিরায় শিরায় খুনির রক্ত প্রবাহিত। খুনি পরিবারের ঐতিহ্যমন্ডিত মাদ্রাসা পড়ুয়া ভয়ংকর কিলার তৌফিক।

রহস্যজনক ভাবে গণ্যমান্য কিছু মুখোশধারী কালো হাত ও অসাধু চক্রের সহযোগিতায় তাদের অনিষ্ট ও ভয়াবহতার তাণ্ডব যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে!উক্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ চালাবন্দ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব। জানা গেছে, নিহতের মা প্রিন্সিপালের নিকট কিলার তৌফিকের জরুরি তথ্যের জন্য গেলে তিনি অপকৌশলে তথ্য গোপন রেখে অসম্মান সূচক আচরণ করেন। দক্ষিণখানের গাওয়াইরের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী রফিকুল ইসলাম এর ভাড়াটে এই খুনির বংশীয় স্বনামধন্য পরিবার। এই কিলার পরিবারের সম্মান,গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রাখতে মিষ্টবুলি আউড়ে ধুর্ততার সাথে বীরত্ব দেখাচ্ছেন এই তথাকথিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও হাজী পরিচয়ধারী পাজির পা-ঝাঁড়া!

বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা গেছে, নিহতের পরিবারসহ তাদের সাক্ষ্যদাতা ও সহযোগীদের ভয়াবহ ক্ষতি করতে গোপন নীল নকশা বুনছে এই কিলার বংশীয় বিদঘুটে পরিবারসহ মদদদাতা মানুষরুপী হিংস্র জানোয়ারেরা। চরম আতঙ্ক ও মহাবিপাকে বিচারের দ্বারেও যেতে পারছে না নিহতের পরিবার। ওদিকে বংশীয় কিলারেরা সকলেই গর্ব করে বলে বেড়াচ্ছে, “আমরা খুনির জাত,আইনের প্যাঁচ দারুণ ভালো বুঝি। থানা, আদালত কিংবা গণমাধ্যম কেউ কিছু করতে পারেনি, পারবেও না! আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে বা চোখ রাঙিয়ে কথা বলার মত কারো পয়দাই হয়নি,ইত্যাদি..”!

জনমনে ভাবনা ও প্রশ্ন, চাক্ষুষ সাক্ষী ও লিখিত স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও বংশগত খুনি কি তার বংশের অন্যদের মতোই সাজাহীন থাকবে ? আমরা কেমন মগের মুল্লুকে বাস করি যেখানে মানুষ হত্যার বিচারও হচ্ছে না?প্রশাসনের রহস্যময় নিরবতা আর কতকাল প্রশ্নবিদ্ধ থেকে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কিত করবে? এমন মস্তো বংশীয় খুনিদের যারা প্রশ্রয় দিয়ে আড়ালে রাখতে ব্যতিব্যস্ত তারা কেমন ভয়ানক হতে পারে দেশ ও জাতির জন্য ? এই উচ্চ ক্ষমতাধর প্রশ্রয়দাতাদের আইনের হাতে ধরাশায়ী করবে কে ? তিরিশ লক্ষ তাজা প্রানের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীন বাংলার বুকে এমন দুঃসাহসী দেশপ্রেমিক বর্তমানে আদৌ আছে কিনা? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে দেখা সোনার বাংলা কি এখন দুঃস্বপ্নের দিকে এগুচ্ছে?

এই খবর প্রকাশ ও প্রচারের দ্বারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সহ দেশের সমস্ত সচেতন ও প্রভাবশালী মহলকে উক্ত বংশীয় খুনি সকল ও প্রশ্রয়দাতাদের গোপন তদন্তের মাধ্যমে ধরাশায়ী করে আইনের আওতায় এনে এলাকাবাসী সহ নিহতের পরিবারকে নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উচিত বিচারের লক্ষ্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031