৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

অসামাজিক কার্যকলাপের প্রশ্নই আসেনা ! (প্রসঙ্গ: হোটেল রাজমহল)

অভিযোগ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
অসামাজিক কার্যকলাপের প্রশ্নই আসেনা ! (প্রসঙ্গ: হোটেল রাজমহল)

এস. হোসেন মোল্লা: রাজধানীর পাশেই ঐতিহ্যপূর্ণ এলাকা গাজীপুরের টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত আবাসিক হোটেল রাজমহল।এখানে নিরিবিলি, নিরাপদ, সুস্থ-সুন্দর, অভিজাত ও সামাজিক পরিবেশে স্বল্পমূল্যে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে বলে খবর নেয়া হয়েছে। বিবিধ পর্যবেক্ষনে রটানো অপবাদ মিথ্যা ছিল বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

একাধিক উদ্ভট ও উড়নচণ্ডী তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীগনের আচানক উপস্থিতি, পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ শেষে নানান প্রশ্নের উত্তরে হোটেলের নির্বাহী প্রধান জামাল হোসেন বলেন, এখানে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিয়মিত পুলিশী তদারকি চলমান আছে। কাজেই কোন প্রকার আপত্তিকর, অসামাজিক বা অসম্মানজক কর্মকান্ডের প্রশ্নই আসেনা। দূর-দূরান্ত থেকে আমার সেবা সাফল্য ও সুনামে ঈর্ষা পরায়ন অনেকেই ঊড়ে এসে জুড়ে বসে আক্রোশমূলক মিথ্যা অপবাদ চাপিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে পালিয়েছে একাধিকবার। কিছু কুচক্রী মহল সাধুর বেশে নানান অপকৌশলে আমার মানহানি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত অপরাধেও লিপ্ত থেকেছে। এতে সাময়িক ঝামেলা ও বেকায়দায় পরলেও অবশেষে সকলের দোয়া,স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও সচেতন সুধী সমাজের বিচার-বিচক্ষণতা ও সঠিক সিদ্ধান্তে আমি আজও সুনামের সাথে টিকে আছি ও সম্মান ফিরে পেয়েছি। এবার আমি আনন্দের সাথে আপনাদেরকে পাশে দেখতে চাই।কারণ, আমার এখানে বাস্তব অবস্থার প্রত্যক্ষদর্শী আপনারা। আপনাদের সহযোগিতায় আমি সততা ও সফলতার সাথেই আজীবন এই মানব সেবায় নিয়োজিত থাকবো ইনশাল্লাহ। আপনাদের এই শুভাগমন আমি আজীবন ভুলতে পারবো না। কথায় বলে, “রাখে আল্লাহ মারে কে”?

হোটেলের এই নির্বাহী প্রধান আরও জানান, দূর থেকে কেউ এই ব্যস্ত ও অচেনা এলাকায় এলে প্রায়ই তাদের চোখে মুখে আমি ভয়-বিষন্নতা ও দুর্ভাবনা লক্ষ্য করে থাকি। তখন আমি মুহূর্তেই তাদের সকল অভাব-অভিযোগ সমাধান করে চাহিদা মাফিক রুম বুঝিয়ে দিয়ে তাদের মুখে স্বস্তির হাসি ও আস্থা সৃষ্টি করি । দীর্ঘ ১০টি বছর অভিজ্ঞতার আলোকে সাবলীলভাবেই এমন গুরু দায়িত্ব সুনামের সাথে আমি পালন করে নিজেকে ধন্য ও গর্বিত মনে করি এবং চরম আত্মতৃপ্তি লাভ করে থাকি।

খবরে প্রকাশ, রাজধানীর কোল ঘেঁষে ঐতিহ্যপূর্ণ তুরাগ নদীর পাড়েই গাজীপুরের টঙ্গী বাজারে অবস্থিত হোটেল রাজমহল আবাসিক। ঠিকানা-মৌলভী আব্দুল ওয়াহেদ শাহ মার্কেট, ৪র্থ তলা, টঙ্গী বাজার, গাজীপুর। প্রয়োজন ভেদে সিঙ্গেল, ডাবল ও তিন বেডের রুম আছে এখানে প্রায় ৩২টি। সুশৃংখল,আকর্ষণীয়, মনেমুগ্ধকর, চমৎকার ও নিরাপত্তামূলক পরিবেশের প্রতিশ্রুতি। এখানে আছে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা, ওয়াইফাই, বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থা। তাছাড়া প্রতিটি রুমেই টেলিভিশন এবং ৫ম তলায় রয়েছে মসজিদ।

হোটেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, উক্ত এলাকায় ২৪ ঘন্টা খাদ্য-পানীয়, যাবতীয় চিকিৎসা ও ঔষধ-সামগ্রী সহজলভ্য। জীবিকার তাগিদে কর্মব্যস্ত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও কাজের অবসরে বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে এলে এখানে তারা উঠেন। বিশেষ করে বিদেশগামী ব্যক্তিদের ভিড় বেশি দেখা যায়।

হোটেলে অবস্থানরত বিভিন্ন অতিথিগণের কাছে জানা যায়, “এই কর্ম-চঞ্চল এলাকায় সুন্দর, নিরাপদ ও অভিজাত পরিবেশের হোটেল আছে ভাবা যায় না । তাই এখানকার সেবা, মান ও নিরাপত্তা নিয়ে বাইরে থেকে প্রথমে নানান ভয় ও সংশয় থাকলেও ভিতরে এসে সবই দূর হয়েছে।হোটেল কর্তৃপক্ষ বেশ আন্তরিকতার সাথে ও সজাগ দৃষ্টিতে আমাদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন “। পরবর্তীতেও এই এলাকায় আসা হলে নিঃসন্দেহে এই হোটেলেই ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত সকলেই!

উক্ত এলাকার বিশেষত্ব ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানা যায়,কাছেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী তুরাগ নদী ও পবিত্র বিশ্ব ইজতেমার বিশাল খোলা মাঠ। রয়েছে বিরাট পাইকারি বাজার (আড়ত) এবং সকল প্রকার পণ্য-সামগ্রী । কম দামে ভালো কেনাকাটায় নির্ভরযোগ্য অসংখ্য মার্কেট। তাছাড়াও প্রতি রোববারের সাপ্তাহিক বিরাট হাটে পাওয়া যায় না এমন কোন কিছুর নাম বলাই কঠিন। এলাকার স্থানীয় ও পড়শী ব্যক্তিরা বেশ আন্তরিক ও সচেতন। বেড়ানোর জন্য বৈচিত্রপূর্ণ পরিবেশে আশেপাশেই রয়েছে নদীর পাড়,ঘাটে খেয়া পারাপার, খোলা মাঠ, শুটিং স্পট, লেক-পার্ক,পিকনিক স্পট, পার্টি সেন্টার ও আরো অনেক কিছুই !

ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, উক্ত জামাল হোসেন একজন সৎ, বিনয়ী, ধার্মিক,পরোপকারি ও দানশীল ব্যক্তি । এলাকার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানায় তিনি নিয়মিত দান করে থাকেন। যে কোন বিপদগ্রস্ত মুসাফির বা আগন্তকদের উপস্থিতি দেখা মাত্র তিনি আন্তরিক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সাথে তাৎক্ষণিকভাবে বিনে পয়সায় তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। তার অকৃত্রিম আদর-আপ্যায়নে মুগ্ধ ও সন্তুষ্ট চিত্তে সেই অসহায় মুসাফিরগণ বিদায় বেলায় তৃপ্তির হাসিতে অশ্রু ভেঁজা নয়নে এই জামালকে বুকে জড়িয়ে দোয়া দিয়ে থাকেন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উক্ত হোটেলে কখনো কোন প্রকার অনিয়মের সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কাজেই কুৎসা রটিয়ে পলাতক ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য অবশ্যই নিন্দনীয় ! ওসব আসলে আক্রোশ মূলক ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয় !

বিগত বহুদিন যাবত নানান ঘটনা ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তবতার আলোকে একটি আন্তর্জাতিক মানের মানবাধিকার সংস্থা “হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল” এর উদ্যোগে সুগঠিত অনুসন্ধানী টিমের এই প্রতিবেদন একযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের দ্বারা উক্ত প্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিস্থিতি দেশ ও জাতিকে অবহিত করনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালী সচেতন মহলের সূক্ষ্ম নজরদারি ও সহায়তা কামনা করা হচ্ছে। সেই সাথে ভবিষ্যতের যে কোন কুচক্রী বা অনিষ্ঠকারী মহলের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে অগ্রিম জোড়ালো সতর্কবার্তা প্রদান করা যাচ্ছে ।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031