Sharing is caring!
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:বর্তমানে আত্মহত্যার প্রবনতা বেড়েছে কয়েক গুন৷ আর এ প্রবণতা বেশি দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। যার প্রধান কারন মানসিক সমস্যা। তাই এ প্রবনতা রোধ করতে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ গ্রহন করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে টেলি-কাউন্সিলিং সেবা প্রদান, মানসিক স্বাস্থ্য পরিমাপ, প্রাথমিক কাউন্সিলিং সেবা সহ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়ার্কসপের আয়োজন করা হয়েছে।
১০অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস৷ এ দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ সকাল ১০ঘটিকা থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনটি উৎযাপন করেছে।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২০২নম্বর কক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
সানজিদ আল মাহী এবং ইফাত জাহান সৌমির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা সরাফত আলী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহমেদ। এবং অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক নাসরিন নাহার, সহকারী অধ্যাপক নুসরাত শারমিন, প্রভাষক সাহাদাৎ হোসাইন, প্রভাষক সানজিদা কবির, প্রভাষক আয়েশা আক্তার, প্রভাষক আনন্দ ঘোষ, প্রভাষক জুয়েল শেখ এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যা থেকে রক্ষা করার জন্য ১০অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশেষ সেবা প্রদান করা হবে বলে জানা যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভিন্ন কারনে আমরা মানসিকভাবে নানান সমস্যায় ভোগী। ফলে একটা সময় আমাদেরকে কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হয়৷ এতে একটি জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। তাই কাউন্সিলিং করাটা খুবই জরুরি বলে মনে করি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ ২০১৭-১৮সেশনের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে মানসিক সেবা প্রদান করা। যাতে করে তারা হতাশায় না ভোগে সুন্দর একটি জীবন পরিচালনা করতে পারে৷ সেজন্য আমরা তাদের সেবার জন্য টেলি-কাউন্সিলিং সেবার ব্যবস্থা করেছি। এতে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী ২০১৮-১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সানজিদা আরমি অর্ণা বলেন, মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা সবার জন্য জরুরি। তবে সবাই সুস্থ থাকতে পারেনা। তাই আমরা তাদেরকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে এ উদ্যোগটি গ্রহন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদান করার জন্য আমাদের একটি রুমের প্রয়োজন। যেটি আমাদেরকে এখনো দেওয়া হয়নি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে একটি রুম দিবে যাতে করে আমরা শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদান করতে পারি।
শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ নিয়ে প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করার জন্য একটি রুমের প্রয়োজন। এবিষয়ে আমি উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করে খুব দ্রুত তাদের জন্য একটি রুমের ব্যবস্থা করে দিব।
মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি নাসরিন নাহার বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা সুস্থ দেহে সুন্দর একটি মন নিয়ে জীবন যাপন করোক। তারা যেন কোনো প্রকার মানসিক সমস্যায় না ভোগে। যদিো কোনো কারনে তারা উক্ত সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে আমাদের তাদেরকে ফ্রী সেবা প্রদান করবো। এতে তাদের পরিচয় গোপনীয় থাকবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করার জন্য একটি রুমের প্রয়োজন, যেটি এখনো আমরা পাইনি। তবে আমরা আশা করি একটি রুম পাব। এতে আমরা আমাদের সেবা আরো বেশি বৃদ্ধি করতে পারব। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করার জন্য আমরা টেলি-কাউন্সিলিং নামে একটি সেবার ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীরা মোবাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের পরিচয় গোপন রেখে সেবা প্রদান করবো।