Sharing is caring!
মোঃ জহির হোসেন,বরুড়া কুমিল্লা:কুমিল্লার বরুড়া থানার অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গত ০৫ আগষ্ট ২.৩০ ঘটিকায় বরুড়া থানার এসআই(নিঃ)মোঃ আলী মর্তুজা সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ দিবাকালীন সময়ে জরুরী টহল, মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট ডিউটি করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, বরুড়া থানার ১৪নং লক্ষীপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর পশ্চিম বাজার সংলগ্ন সালাউদ্দিন হোটেলের সামনে পাকা রাস্তার উপর কতিপয় অবৈধ জালনোট ব্যবসায়ী জাল টাকার নোট বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিক্তিতে বর্ণিত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া মাত্রই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে ০১ জন ব্যক্তিকে আটক করেন। এই সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে তাহার দেহ তল্লাশীকালে তার ডান হাতে ধরা একটি কাগজের শপিং ব্যাগের ভিতর কালো রংয়ের রুমাল দ্বারা বাঁধা ৫০০(পাঁচশত) টাকা মূল্যমানের ৪৯০ টি জালনোট, যাহার মূল্য ২,৪৫,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ আকরাম (২৪), পিতা-মোঃ কামাল হোসেন, মাতা-মরিয়ম, সাং-চর ফলকন, পোঃ হাজিরহাট, থানা-কমলনগর, জেলা-লক্ষ্মীপুর বলে জানায়। ঘটনাস্থলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আসামীর নিকট জাল টাকা গুলি সংগ্রহের উৎস কোথায় বা কাহার নিকট হইতে সংগ্রহ করেছে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে, ১। ফারুক, পিতা-অজ্ঞাত, সাং-অজ্ঞাত, থানা-অজ্ঞাত, জেলা-অজ্ঞাত, মোবাঃ ০১৮৭৩-৮১৫৯৯২ ও ২। সিরাজ গাজী, পিতা- অজ্ঞাত, সাং-অজ্ঞাত, থানা-অজ্ঞাত, জেলা-অজ্ঞাত, মোবাঃ ০১৮৭২-১৯৮২১১ হইতে সংগ্রহ করিয়া কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে। উক্ত ঘটনায় এসআই(নিঃ)মোঃ আলী মর্তুজা বাদী হয়ে আটকৃত ০১ জন ও পলাতক আসামী ০২ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। যাহার বরুড়া থানার মামলা নং-০৩, তাং-০৫/০৮/২০২৩ইং, ধারা- The Special Powers Act, 1974; 25-A(b) রুজু হয়।
এই সময় মামলা রুজুর পরপরই জেলা পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ বরুড়া থানার চৌকস টিম মামলার অপরাধকৃত পলাতক ০২ (দুই) জন আসামীকে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্বস্ত গুপ্তচোর নিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মামলাটি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।