Sharing is caring!
নিজস্ব প্রতিবেদক: এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না দেওয়ায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ডিগ্রি কলেজে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ডিগ্রি কলেজে উক্ত আন্দোলন সংগঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এবছর এইচএসসি নির্বাচনী পরিক্ষায় এক (১) বিষয়ে অকেৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদেরও ফরম পূরণের সুযোগ দিচ্ছে না কলেজকতৃপক্ষ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আশেপাশের কলেজগুলোতে ৩-৪ টা বিষয়ে অকেৃতকার্য হওয়া স্বত্বেও শিক্ষার্থীদের ফরম পূরন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, কলেজে ফ্যান বা ইয়ার কন্ডিশনের কোনো ভালো ব্যবস্থা না থাকায় অতিরিক্ত গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পরেছে। অসুস্থাবস্থায় বাধ্য হয়ে অনেকে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফলস্রুতিতে অনেক ভালো শিক্ষার্থীদেরও রেজাল্ট ভালো হয় নাই।
তারা আরও জানান, কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেছিলেন যে, গরম পরছে, তোমরা পরিক্ষা দেও। তোমাদের কোনো চিন্তা নেই। এক বিষয়ে সমস্যা হলে, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখবো। তোমরা নিশ্চিন্তে পরিক্ষা দেও। কিন্তু এখন তারা তাদের কথা হতে সরে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে আরও জানান, উক্ত কলেজ শিক্ষার্থী শাম্মী সুলতানা (১৮) কলেজে তার খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য অধ্যক্ষের কাছে গেলে তিনি সুযোগ না দিয়ে উল্টো দূর্ব্যবহার করেন এবং ফরম পূরণে অস্বীকৃতি জানান।
পরে সে কলেজের অফিসকক্ষ থেকে বেড়িয়ে ক্ষোভে কলেজ গেটের সামনে গুল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় তার সহপাঠীরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে উপজেলার রাহুথর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে দিলে তাকে গোপালগঞ্জ সদরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা সম্পর্কে এখনো সঠিক তথ্য জানা যায় নি।
এছাড়াও, কলেজে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা উক্ত বিষয়ের জের ধরে আন্দোলন চালিয়ে যায়। কিন্তু এর পরেও অধ্যক্ষ মহদয় তাদের দাবি মেনে নেন নি বা তাদের উপলক্ষে কিছু বলেন নাই। তিনি বার বার তাদের অভিযোগ নাকুচি করেন।
এমতাবস্থায় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজন (৩) শিক্ষার্থী ব্লেড দ্বারা নিজ হাতে জখম করে শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয় এবং আত্মহত্যার হুমকি দিলেও অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান তাদের কোনো দাবী মেনে নেন নি।
অধ্যক্ষ জানান, উক্ত শিক্ষার্থীদের তিনি চেনেন না এবং উক্ত শিক্ষার্থী কলেজে পড়ে কি না সেটাও তিনি জানেন না।
অত:পর, অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান অসুস্থ শিক্ষার্থীদের কোনো জবাব না দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মেহেদী হাসান এর সাথে কলেজের ফরম পূরণ বিষয়ে আলাপ করতে যান।
তাদের অনুস্মরণ করে কলেজের শিক্ষার্থীরাও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মেহেদী হাসান এর সাথে কথা বলতে যায়।
এখন কলেজে উক্ত শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে কি না? এখনো পর্যন্ত উক্ত বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি।