Sharing is caring!
মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর চাটখিল ফায়ার স্টেশন ২০১৮ সালে উদ্বোধন করার পর গত ৫বছরে কোন সংস্কার করা হয়নি। নির্মাণকালে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। মূল ভবনের অংশবিশেষ ধসে-ধসে পড়ছে। চলাচলের একমাত্র সড়কটিরও বেহাল দশা। (১৩জুন) মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাটখিল ফায়ার স্টেশনে ফায়ার ফাইডার পদে ১৬ জনের বিপরীতে রয়েছে ১২জন। ২টি গাড়ি ব্যতিত আগুন নিয়ন্ত্রণ বা নির্বাপণের জন্য কিংবা উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত হাইড্রোলিক রেম জ্যাক, বিএ সেট, হাইড্রোলিক স্টেপার কামেলা সহ কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। ফলে বড় ধরনের অগ্নি দূর্ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণ বা নির্বাপণের সক্ষমতা এই স্টেশনে নেই। নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্মিত সীমানা প্রাচীর গুলো ধসে পড়েছে। চাটখিল ফায়ার স্টেশনের মূল ভবনের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে ঝরে- ঝরে পড়ছে। ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা জানান,বৃষ্টি হলেই ক্যাপ্টিনে খাওয়া বা বসা যায়না। টিন ভেদ করে বৃষ্টির পানি ক্যাপ্টিনের ভিতরে চলে আসে। জরুরী ভিত্তিতে স্টেশনটি অবকাঠামো সংস্কার প্রয়োজন। স্থানীয়রা জানান, রামগঞ্জ – চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের সংযোগ সড়ক চাটখিল ফায়ার স্টেশন ও চাটখিল সরকারি কারিগরি কলেজের একমাত্র রাস্তাটি। পাশাপাশি দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সড়কের বেহাল দশা জনপ্রতিনিধিরা দফাদফায় সড়কটি সংস্কার করার জন্য প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও সংস্কার করা হয়নি। সড়কটি কাঁচা (মাটির রাস্তা) হওয়ায় বৃষ্টির দিনে এই সড়ক মরণফাঁদে রুপ নেয়। অগ্নি দূর্ঘটনার সংবাদে চাটখিল ফায়ার স্টেশন থেকে ফায়ার কর্মীরা গাড়ি নিয়ে বের হতে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে বের হতে হয়। একদিকে সড়কটি কাঁচা ও ছোট অন্য দিকে রামগঞ্জ- চাটখিল সোনাইমুড়ী সড়ক থেকে অধিক নিচু। তাই স্থানীয়রা দ্রুত সড়কটি পাকাও প্রশন্ত করে রামগঞ্জ – চাটখিল – সোনাইমুড়ী সড়কের সমান উঁচু করার দাবি জানিয়েছেন।
চাটখিল ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার চদ্র শেখর গাইন জানান,তিনি এই স্টেশনে ২০০১ সালে যোগদানের পর অবকাঠামোগত সমস্যা সহ যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। তবে এখনও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি।