৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বঙ্গবন্ধু’র জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার।

Weekly Abhijug
প্রকাশিত মে ২৯, ২০২৩
বঙ্গবন্ধু’র জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার।

স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবের আমেজ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আজ ২৮ মে রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল। সভায় অতিথিবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে কেক কেটে ও বঙ্গবন্ধু স্মারক ডাক টিকেট উন্মোচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়। শেষে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী বিষয়ক কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাপ্ত ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও প্রথম আন্তর্জাতিক অর্জন। ‘জুলিও কুরি’শান্তি পদক প্রাপ্তির পর বঙ্গবন্ধু বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যারি কুরি ও পিয়েরে কুরি দম্পতি বিশ্ব শান্তির সংগ্রামে যে অবদান রেখেছেন,তা স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী, সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে,শান্তির স্বপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে আসছে।
তিনি বলেন, স্বীয় কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিমন্ডল অতিক্রম করে জাতির পিতা বিশে^র শোষিত মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। শুধু দেশেই নয়, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তাইতো ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার তাঁকেই মানায়। বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও শান্তি, স্বাধীনতা ও বাঙালির অধিকার আদায়ে ভিন্নমাত্রায় লড়াই করে যাচ্ছেন। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন ও বিশ্বশান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০ দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়। ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কার প্রাপ্তির পূর্বেই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন। আমার দৃষ্টিতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যায়নধর্মী হলো ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার। যে সময়ে জাতির পিতাকে এ পদক দেওয়া হয়, সময়ের প্রেক্ষাপটে সেটিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত, বঞ্চিত বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ পরিহার করে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করে বিশ্বের সুনাম অর্জন করেন। আর বিশ্ব মানবতায় অবদান রাখার কারণে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত করেন। বিশ্বশান্তি পরিষদের এ পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতি ও বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মহাসড়কে সবাইকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু ‘জুলিও কুরি’পদক প্রাপ্তির মাধ্যমে শান্তিপ্রিয় বাঙালি জাতিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। তিনি সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। তিনি সারাজীবন গরীব-দুঃখী নির্যাতিত মানুষের গরীব দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণার তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছেন। জাতির পিতার আদর্শ-উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে উন্নত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন,বঙ্গবন্ধু আমাদের আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।যে স্বপ্ন আমাদের অর্ন্তনিহিত শক্তিকে জাগ্রত করেছে। তাঁর প্রেরণায় সাড়ে সাত কোটি বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করেছে। ‘জুলিও কুরি’ আন্তর্জাতিক শান্তি পদক বঙ্গবন্ধুরই প্রাপ্য। এই পদক দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031