৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে

অভিযোগ
প্রকাশিত মে ৭, ২০২৩
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:বারবার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষকের নামে । অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাসিবুর রহমান।

রবিবার উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা লিখিত একটি পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক দপ্তর বরাবর জমা দেয়। এতে ঐ বিভাগের প্রথম ব্যাচ ২০১৭-১৮ এর পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগপত্রে ২০১৯ সালের ৭ জুলাই ঐ শিক্ষকের ক্লাস নেওয়া বিষয় পলিটিকাল ইকোনোমি অব বাংলাদেশের প্রশ্ন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম হৃদয়ের ব্যাগে পাওয়া যায় বলে তারা দাবি করেন যা মুল পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে হুবহু মিল। যাতে তারা স্পষ্ট অভিযুক্ত শিক্ষকের হাতে লেখা প্রশ্ন ও উত্তরপত্রের নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান।

এছাড়াও আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি শেষ হওয়া বিভাগটির একই ব্যাচের শেষ সেমিস্টারের সিকিউরিটি ইস্যু বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্ন পরীক্ষার আগের রাতেই নারী শিক্ষার্থী সুরাইয়া আফনান নাহিনের এক ভয়েস ক্লিপ পাওয়া যায়। পরদিন পরীক্ষায় ছয়টি প্রশ্নের মধ্যে তার প্রকাশিত হওয়া ভয়েস ক্লিপের চারটি প্রশ্ন আসে। পরবর্তীতে ফলাফল প্রকাশিত হলে ঐ নারী শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় সিজিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ৪.০০ পান।

অভিযুক্ত শিক্ষক সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার সভাপতি ও ঐ বিষয়ের ক্লাস নিতেন। অভিযোগ পত্রে ঐ দুই শিক্ষার্থীর সাথে অভিযুক্ত শিক্ষককের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয় তুলে ধরে ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচারের দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. হাসিবুর রহমানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অভিযোগ কোন শিক্ষার্থীরা করেছে তাদের পরিচয় কোথাও অভিযোগের মধ্যে নাই। আমার বিরুদ্ধে কোন একটা মহল চক্রান্ত করে এসব মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার বলেন, “আবেদনটি আজকে অফিস সময় শেষে আমার কাছে জমা দেয়া হয়েছে যখন উপাচার্য স্যার ছিলেন না। আমি এটা আগামীকাল ভিসি দপ্তরে উত্থাপন করব এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ম অনুযায়ী গৃহীত হবে।”

এ বিষয়ে রেজিস্টার মো. দলিলুর রহমান বলেন, “আমি আবেদনের একটি অনুলিপি পেয়েছি। তবে আবেদনটি যেই দপ্তর বরাবর দেয়া হয়েছে সেই দপ্তর থেকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, “বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে এমন অভিযোগ যেহেতু লিখিত ভাবে বসছে, সেহেতু তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে।”

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031