Sharing is caring!
মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী: লক্ষীপুরের জোড়া খুনের ঘটনায় র্যাব-১১ দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে, মশিউর রহমান নিশানসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান দৈনিক নয়া বঙ্গবাজারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মশিউর রহমান নিশান, রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান ফয়সাল, আওয়ামী লীগ কর্মী রুবেল দেওয়ান ও নাজমুল হোসেন।
জানা গেছে, রোববার পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফারুক হোসেন ও আরমান হোসেন নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। তারা এজাহার নামীয় আসামি নয় বলে জানা গেছে। সন্দেহজনকভাবে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ইউপি নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোমান-রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদী ১৯৯৬ সালে নিজের নামে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। তার বাহিনীতে ৩০০ সক্রিয় সদস্য রয়েছে। যাদের মাধ্যমে তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান ও তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, কাশেম জিহাদী তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তার করে এলাকায় চাঁদাবাজি, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ২০১৩ সালে দত্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামিম, ২০০০ সালে আইনজীবী নুরুল ইসলাম, দত্তপাড়া এলাকার আবু তাহের, বশিকপুরের নন্দীগ্রামের মোরশেদ আলম, করপাড়ার মনির হোসেন, উত্তর জয়পুরের সেলিম ভূঁইয়া ও কামাল হোসেন হত্যা মামলাসহ নোমান-রাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাশেম জিহাদী।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে, তিনিও মারা যান।