Sharing is caring!
মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিলে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশ পত্র দেওয়ার সময় বিনা রশিদে কেন্দ্র ফি নামে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। এব্যাপারে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, এধরনের ঘটনা প্রায় প্রতি বছরই হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন-নিবেদন করেও এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সাথে যোগাযোগ করলে প্রত্যেকেই পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই ফি আদায় করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন। রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে সারাদেশের ন্যায় চাটখিল উপজেলায় ৮ কেন্দ্রে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসব কেন্দ্রে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কেন্দ্রের সচিবগণ তাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি’র অনুমতি ব্যতিত প্রবেশ করা যাবে না বলে জানান। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার মুঠোফোনে কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি চাওয়া হলে তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রে সাংবাদিক কাজ নাই বলে প্রবেশের অনুমতি দেননি। এবিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ জামাল নাছের এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া’র বক্তব্যের বিষয়ে অবগত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ইউএনও দায়িত্বশীল জবাব দেননি। পরীক্ষা কেন্দ্রে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রবেশ করতে পারবে। তবে নিউজের স্বার্থে কোন ছবি সংগ্রহ করতে হলে পরীক্ষা কক্ষে কেন্দ্র সচিবের তত্বাবধানে প্রবেশ করতে হবে এবং ছবি তুলতে প্রশ্নপত্র ঢেকে রেখে ছবি তোলা যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, পরীক্ষা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হলে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরীক্ষা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশ করার প্রয়োজন নাই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনালে মোট ৩হাজার ১১১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দিনে ৮৮জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি।