৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রাশিয়ার ঋণ পরিশোধে ফের বিকল্প উপায় খুঁজছে সরকার

অভিযোগ
প্রকাশিত এপ্রিল ২৭, ২০২৩
রাশিয়ার ঋণ পরিশোধে ফের বিকল্প উপায় খুঁজছে সরকার

অনলাইন ডেস্ক: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঋণের কিস্তি পরিশোধে ফের বিকল্প উপায় খুঁজছে সরকার। এই কিস্তি চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মাধ্যমে পরিশোধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই ব্যবস্থায় আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই বিকল্প উপায় খুঁজছে সরকার। এ নিয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ-রাশিয়া ফের বৈঠকে বসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাশিয়ার কাছ থেকে নেওয়া ঋণ ডলারেই পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। পরে রাশিয়ার দেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা ফেরত এবং ঠিকাদারদের পাওনা টাকা পরিশোধের উপায় নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়। এর সমাধান খুঁজতে রাশিয়া যায় বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় রাশিয়া ডলারের পরিবর্তে তার নিজস্ব মুদ্রা রুবলে ঋণের কিস্তি শোধ করতে চাপ দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে রুবল ব্যবহার না হওয়ায় অস্বীকৃতি জানায় বাংলাদেশ। এরপর চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মাধ্যমে ঋণের কিস্তি শোধ করতে একমত হয় বাংলাদেশ ও রাশিয়া।

সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতাও হয়েছে। এ খবর প্রকাশের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘তৃতীয় দেশের মাধ্যমে’ রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের টাকা লেনদেনে আপত্তি জানিয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, ইউয়ানের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপত্তি থাকলে তা নিয়ে বাংলাদেশ-রাশিয়া দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে আবার আলোচনা হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প একটি অনেক বড় প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক সুবিধা রয়েছে। তবে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ভালো বলতে পারবে। তাদের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করা হবে এবং তারাই এই চুক্তি সম্পন্ন করবে।

তিনি বলেন, চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হতে আরো সময় লাগবে। এ বিষয়ে জানতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানের সঙ্গে গতকাল রাতে যোগাযোগ করা হয়। তিনি অনলাইনে অন্য মিটিংয়ে যুক্ত আছেন বলে এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. আব্দুল মোমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে ডলারে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এখন অন্য কোনো পন্থায় দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে কোন পদ্ধতিতে দেওয়া হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, রাশিয়া তাদের মুদ্রার মাধ্যমে চেয়েছিল। কিন্তু রাশিয়ার মুদ্রা বাংলাদেশে নেই। এখন চীনের মুদ্রা নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি জানালে বিকল্প চিন্তা করতে হবে।

২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়া সফরকালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ প্রস্তুতিকাজ সম্পাদনের জন্য স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। স্বাক্ষরিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি আইজিএ এবং স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট অ্যাগ্রিমেন্টের ভিত্তিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই বছর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রথম পর্যায় কাজের আনুষ্ঠানিক

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031