Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার: দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, সাবেক ছাত্রনেতা,মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কমান্ড কেন্দ্রীয় সংসদের উপদেষ্টা,চেয়ারম্যান বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি,সদস্য কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় ডিজিটাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ এবং বাংলাদেশ তাঁতীলীগ ও জাতীয় ডিজিটাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জসীমউদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী।
তিনি এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন,পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।
ঈদ-উল-ফিতর আমাদের মুসলমানদের জন্য অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। দিনটি আমাদের মুসলিম ভাইদের বড়ই আনন্দের, খুশির দিন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের ধনী-দরিদ্রের ভেদাভেদ ভুলে সব মানুষকে এক কাতারে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। ঈদ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন।
আমাদের পরিবার-পরিজন বন্ধু-বান্ধব পরিচিতজন অনেক’কেই করোনা কালীন সময়ে আমরা হারিয়েছি, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে।
প্রায়ই দুই বছর পরে আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে আমরা আজ কিছুটা প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারছি। এমনই সময় ঈদ এসেছে আনন্দের বার্তা নিয়ে, সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এবারের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার আহ্বান জানান তিনি।
দেশপ্রেম আর মানবতাবোধের বহ্নিশিখায় জেগে উঠুক প্রতিটি মানব হৃদয়। আসুন, সমাজের ধনী-গরিব ধর্ম-বর্ণ-গোত্র জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই পারস্পারিক সহযোগিতা ও সহর্মিমতার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের খুশি ভাগাভাগি করে নিই।
তিনি আরও বলেন, এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারাবাংলায়, সারাবিশ্বে। শহরবাসী মানুষ শিকড়ের টানে ফিরে যান আপনজনের কাছে, মিলিত হয় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। এ দিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। ঈদ-উল ফিতরের অভিরাম ভালোবাসা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এ প্রত্যাশা করি এবং বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই একসাথে মিলে মিশে বসবাস করে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার,আবহমান কাল থেকে এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছে। এই সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির কোন স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে।
ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইসলামের মর্মার্থ ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর সৌহার্দ্যে-পবিত্র ঈদ-উল ফিতরে এ প্রত্যাশা করি।