২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

খাতুনগঞ্জ বাজারে ক্যাব চট্টগ্রামের বাজার ভিত্তিক প্রচারণা, রমজান মাসের বাজার একসাথে না করে সপ্তাহের বাজার করার আহবান

Weekly Abhijug
প্রকাশিত মার্চ ২৩, ২০২৩
খাতুনগঞ্জ বাজারে ক্যাব চট্টগ্রামের বাজার ভিত্তিক প্রচারণা, রমজান মাসের বাজার একসাথে না করে সপ্তাহের বাজার করার আহবান

চট্টগ্রাম ডেস্ক:
দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ বাজারে ক্যাব চট্টগ্রামের বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচিতে বক্তারা
রমজানে মাসের বাজার একসাথে না করা, ইফতার সামগ্রীর পরিবর্তেনগদ অর্থ বিতরন ও অতিমুনাফা আদায়ে থেকে সংযম প্রদর্শন এবং ইফতারীতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের আহবানপবিত্র রমজান মাসে পণ্য-দ্রব্য ক্রয়ে সংযমের পরিচয় প্রদানের জন্য মাসের বাজার একসাথে না করে সপ্তাহের বাজার করা, দরিদ্রদের মাঝে নিত্যপণ্যের বাজার যোগান ও সরবরাহ ঠিক রাখতে ইফতার সামগ্রী বিতরণের পরিবর্তে নগদ অর্থ বিতরণ করা হলে পণ্যের সরবরাহ ও যোগানে ঘাটতি হবে না। বাজারের দোকানগুলিতে মূল্য তালিকা না থাকলে, কেউ অতিমুনাফা করলে বা হয়রানি করলে, অবৈধভাবে মজুত করলে ভোক্তা অধিদপ্তরের হটলাইন নাম্বার ১৬১২১, জেলা প্রশাসন ও ক্যাব এর নাম্বারে জানানোর আহবান জানানো হয়। অন্যদিকে পবিত্র মাহে রমজান মাস এলেই আমাদের দেশের কিছু ধনাঢ্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা আকারে ইফতার সামগ্রী বিতরন করে থাকেন। কিন্তু পুরো রমজান মাস জুড়ে সাধারন দরিদ্র মানুষ যেন ইফতার ও সেহেরী স্বাশ্রয়ী মূল্যে খেতে পারেন তার জন্য কিছু করার আহবান জানান। এ সমস্ত আয়োজনে সাধারন মানুষের একবেলা ইফতার জুটলেও পুরো মাসে রমজানে ইফতার সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের চরম উর্ধ্বগতিতে জনজীবন

অতিষ্ঠ, সেখানে এ ধরনের ইফতার সামগ্রী বিতরনের আয়োজন সাধারন মানুষের জীবন যাত্রায় সহায়ক না হয়ে দুর্দশার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। দান হিসাবে ইফতার সামগ্রী প্রদান করার কারনে এ সমস্ত সামগ্রীর যোগান ও সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি হচ্ছে এবং সামগ্রী পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদান করা হলে দরিদ্র মানুষ তার নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কেনা-কাটা করতে পারতেন। ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে অনেক সময় অপচয়ও ও চুরি হয়। তাই আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্য মূল্যে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ইফতার সামগ্রী বিতরণের পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদান, মাসের বাজার একসাথে না করে সপ্তাহে করা ও ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা আদায় থেকে সংযম প্রদর্শন ও ইফতারে ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের আহবান জানিয়েছে বক্তাগন। ২৩ মার্চ ২০২৩ইং সকালে দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ বাজার, টেরিবাজার ও বক্সিরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচিতে উপরোক্ত আহবান জানান।কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপ এর উদ্যোগে গণঅবস্থান ও বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসুচির অংশহিসাবে এ কর্মসূচিতে অংশনেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, মহানগর নির্মান শ্রমিক লীগের সভাপতি এম এ আলিম রানা, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রæপ মহানগরের ইমদাদুল ইসলাম, ওমর করিম, করিমুল ইসলাম, সালমান রশিদ অভি, নাঈম মোহাম্মদ নিশান প্রমুখ।বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ, আর্ন্তজাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ডলার ও এলসির সংকটসহ নানা অজুহাত দেখালেও সবগুলির সাথে সত্যতা খুঁজে পাওয়া দুস্কর।

সবধরণের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের অধিক মুনাফা আদায়ে মরিয়া হবার কারনে লাভের এই বিশাল পাহাড় শুধু ব্রয়লার মুরগি নয় বাজারে এভাবে অতি মুনাফার কারনে সাধারন মানুষের জীবন জীবিকা কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন। সেকারনে অতিমুনাফার এখন সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। এসুযোগে ব্যবসায়ীরা একবার সয়াবিন, একবার পেয়াঁজ, একবার ডাল, আটা-ময়দা এভাবে প্রতিটি পণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরী করছেন। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের এধরনের কারসাজি ও অতিমুনাফা এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ঠদের কালক্ষেপনে সরকারের সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে।প্রচারাভিযানকালে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইফতারীতে অধিক ভাজাপোড়া, বিদেশী ফলমুল দিয়ে ইফতার করার রীতির কারনে ইফতারে প্লেটভর্তি ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, জিলাপি ও মুড়ি ছাড়া হয় না। কিন্তু রোজাদারের স্বাস্থ্যের পক্ষে এসব খাবার কতটুকু উপকারী? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ডায়েবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই সাহরি ও ইফতারিতে দুধ, ওটস এবং বাদামের মতো হালকা খাবার খাওয়া উচিত। ভাজাপোড়া ও মিষ্টান্নজাতীয় খাবার শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যেসব খাবারে তেল ও শর্করাজাতীয় উপাদান থাকে সেসব খাবার পরিহার করাই শ্রেয়। একইভাবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদেরও ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিকল্প হিসাবে খিচুরীও শরীরের জন্য ফলদায়ক। এছাড়াও দেশীয় ফলমুল দিয়ে ইফতারী করে রমজানে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা হলে রোজাদারদের জন্য উপকারী হবে বলে মত প্রকাশ করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031