৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রোজায় ইমিউনিটি বাড়াতে প্রতিদিন যা খাবেন

অভিযোগ
প্রকাশিত মার্চ ২০, ২০২৩
রোজায় ইমিউনিটি বাড়াতে প্রতিদিন যা খাবেন

রোজায় ইমিউনিটি বাড়াতে প্রতিদিন যা খাবেন

লাইফস্টাইল বিনোদন ডেস্ক: শরীর সুস্থ-সবল রাখতে প্রতিদিন যতই ব্যায়াম করুন না কেন, খাওয়াদাওয়াটাও কিন্তু ঠিকভাবে করা জরুরি। তাই রোজায় ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকলে তবেই বিভিন্ন রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে। এই সময় দীর্ঘক্ষণ আমরা না খেয়ে থাকি। তাই আমাদের শরীরে সব রকমের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হয় এমন খাবার খাওয়া উচিত। এমন কিছু ইমিউনিটি-বুস্টিং সুপারফুড রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। তাই চলুন জেনে নিই রোজায় প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় কী কী খাবার রাখবেন–

তরমুজ
শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি বহু রোগ থেকেও সুরক্ষা দেয় তরমুজ। এই ফলের প্রায় ৯০ শতাংশই পানি। শরীর হাইড্রেট রাখে এবং এনার্জিও বাড়ায়। এ ছাড়াও তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন, ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েড।

কালো জাম
কালো জামে প্রায় ৮০ শতাংশ জল এবং ১৬ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। ভিটামিন সি, পলিফেনল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে খেতে পারেন কালো জাম।

আম
ফলের রাজা আম। বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে আমে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর উচ্চ ফাইবার উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আমপান্নায়ও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ম্যাঙ্গিফেরিন থাকে, যা সানস্ট্রোক প্রতিরোধ করে।

লাউ
লাউতেও প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এ ছাড়া লাউয়ে রয়েছে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, আয়রন, ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবার। এই সমস্ত পুষ্টিগুণই ইমিউনিটি বাড়াতে এবং হজমে সহায়তা করে।
ডাব
ডাবের পানিতে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট অত্যন্ত কম। ডাবে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম, যা আমাদের শরীরে খনিজ সরবরাহ করে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে।

তুলসী বীজ
তুলসী বীজে রয়েছে আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড (ALA) এবং ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং হজমে সহায়তা করে।

টক দই
টক দই কেবল চমৎকার প্রো-বায়োটিক খাবারই নয়, এটি ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনেরও ভালো উৎস, যা দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। এ ছাড়াও টক দই হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা ও ওজন কমায়।

ছাতু
বেসন থেকে তৈরি হওয়া ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। এটি পানীয় হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে, আবার ছাতুর লাড্ডু ও পরোটা বানিয়েও খেতে পারেন।

সূত্র: বোল্ড স্কাই।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031