Sharing is caring!
ফিলিপাইনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস পালন
নিজস্ব প্রতিবেদক: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ পালন করেছে ফিলিপাইনের বাংলাদেশ দূতাবাস।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) পৃথক দুটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশি ও ফিলিপিনো শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে দিবসটি পালন করা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন। এরপর ফিলিপাইনের স্কুলশিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে দূতাবাসের উদ্যোগে ম্যানিলার কেজন সিটিতে অবস্থিত ব্রিলিয়ান্ট জুনিয়র একাডেমি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকরা ও স্কুল ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
স্কুল অধ্যক্ষ ক্রিস্টিন মেজকারস স্বাগত বক্তব্যে চমৎকার অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবসে ফিলিপিনো শিশু-কিশোরদের অন্তর্ভুক্তি এখানকার শিশুদের বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে আরও আগ্রহী করে তুলেছে। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের মাঝে আকর্ষণীয়ভাবে বাংলাদেশের জাতির পিতার জীবনী তুলে ধরার দূতাবাসের এই প্রচেষ্টাকে তিনি স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত বোরহান উদ্দিন তার বক্তব্যে অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী শিশুদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নন, তিনি একজন বিশ্বনেতা। অসীম সাহসিকতা, অসাধারণ নেতৃত্ব, ছোটদের প্রতি ভালোবাসা, গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি মমত্ববোধ-বঙ্গবন্ধুর এসব গুণাবলি বিশ্বের সব শিশু-কিশোরকে আরও মানবিক ও সুনাগরিক হতে অনুপ্রাণিত করে তোলে।
রাষ্ট্রদূত শিশুদের বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রদূত স্কুলে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রদূত ও স্কুল অধ্যক্ষ জন্মদিনের কেক কাটেন।
এছাড়াও বিকেলে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত শিশু-কিশোরদের নিয়ে জাতির পিতা প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।