Sharing is caring!
অন্যের জমি দিয়ে জোরপূর্বক ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ
তাপস সরকার,ভ্রাম্যামান প্রতিনিধি:নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার নূরুল্লারচর গ্রামের মো:সুরুজ আলীর ছেলে মোঃ বারেক মিয়ার ব্যক্তি মালিকানা ১২ শতাংশ ভূমির উপর দিয়ে এলাকার দুষ্কৃতিকারী মোঃ নুরুজ্জামান সালাম তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ডিজনি চিল্ড্রেন পার্কে প্রবেশ করার রাস্তা নির্মাণ করেন।সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী জানায়, এই রাস্তাটি আমাদের এলাকার মানুষের কোন যাতায়াতের কাজে লাগে না। ডিজনি চিলড্রেন পার্কটি মেইন রাস্তা থেকে হাফ কিলোমিটার দূরের হাওরে থাকায় মোঃ নুরুজ্জামান সালাম তার ব্যক্তিগত ব্যবসার স্বার্থে আমাদের গ্রামের অনেক অসহায় দিনমজুর কৃষকদের থেকে জোরপূর্বক জমি নিয়ে এই রাস্তাটি নির্মাণ নির্মাণ করেন । উনি বলেছিলেন আমাদের জমির ন্যায্য মূল্য দিয়ে দিবেন কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের জমির ন্যায্য মূল্য দেওয়া তো দূরে থাক জমির বিষয়ে উনার সাথে কোন কথা বললে উনি অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন । মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি প্রদর্শন করেন।মোঃ বারেক মিয়া বলেন বিগত ইং ০১/০৩/২০১১ তারিখে দলিল নং ৫৫৭ মূলে মালিক হয়ে জমিটি ভোগ দখল করে আসছিলাম ।এই ভূমি টিই আমার একমাত্র সহায় সম্বল। এই ভূমিতে আমি কৃষি কাজ করে আমার জীবিকা নির্বাহ করি।ডিজনী চিলড্রেন পার্ক স্থাপনের জন্য মোঃ মৃত কাচু মিয়া ছেলে মোঃ নূরুজ্জামান সালাম অন্যায় ও বেআইনী ভাবে আমার দখলীয় ভূমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে। সর্বমোট ১২ শতাংশ ভূমির মধ্যে ০৬ শতাংশ ভূমির উপর দিয়ে পার্কের রাস্তা নির্মাণ করে বেদখল করে এবং বাকী ০৬ শতাংশ ভূমি থেকে মাটি কেটে ৩০ ফুট গর্তের সৃষ্টি করে। ‘রাস্তা উঁচু করায় ০৬ শতাংশ ভূমিও চাষাবাদের অনুপযোগী করে দেয়।আমি মোঃ নূরুজ্জামান সালাম এর নিকট আমার জায়গার ক্ষতিপূরণের টাকা চাইলে সে আমাকে থানা পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করবে ও ভবিষ্যতে যদি কোন দিন আমার জমির ক্ষতিপুরণের টাকা চাই তাহলে আমাকে খুন করে লাশ শুম করে ফেলবে এবং রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা বাকী ০৬ শতাংশ ভূমিও জোরামলে বেদখল করবে বলে হুমকি দেয়। তাই আমি নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি যেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়।নূরুজ্জামান সালামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার শরীর অসুস্থ আমি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে আমি রাজি না। আপনি আমার ম্যানেজারের সাথে ফোনে কথা বলতে পারেন।এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস বলেন লিখিত অভিযোগটি আমরা পেয়েছি এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।