Sharing is caring!
সাহপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুরের রাস্তার সলিং বেশী করার পরেও মিথ্যা অপপ্রচার
নোয়াখালী প্রতিনিধি: সাহপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুর রহিম উদ্দিন ভুঁইয়া বাড়ী থেকে পুর্ব দিকে, ছৈয়দ হোসেন কাজী বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার ৪৮০ ফুট ইটার সলিং এর জন্য ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ১ নং সাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য মাকসুদুর রহমান।
ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৫০০ ফুট রাস্তার ইটা সলিং এর জন্য ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩০০ টাকা উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এই বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে সরকারি নির্ধারিত ভ্যাট ট্যাক্স।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্দশার কথা চিন্তা করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ
বরাদ্দের চেয়ে ১৫০ ফুট রাস্তা বেশী সলিং করেন। তাছাড়া ১ ট্রাকের মত ইটা ভাঙ্গা দিয়ে রাস্তার গর্তগুলো ভরাট করে দেন।
ইটা সলিং এর জন্য কত ফুট রাস্তা বরাদ্দ এবং কত ফুট সলিং করা হয়েছে,তা না জেনেই রাস্তার নিমপ্লেট দেখে একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
কথিত সাংবাদিক নামদারীরা ফেসবুকে লাইফ করে স্থানীয় জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সাংবাদিক নামধারী প্রতারক দলের সদস্যরা বলে বেড়াচ্ছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে রাস্তার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এ ধরনের অপপ্রচারের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। প্রকৃত সত্য ঘটনা হলো সলিং এর জন্য যেখানে বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ ফুট, সেখানে করা হয়েছে ৬৫০ফুট।
এ চক্রটি আবার বলে বেড়াচ্ছে রাস্তা করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন দেওয়ান বাড়ির মসজিদ কমিটির কাছে। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মসজিদ কমিটির কাছে টাকা দাবীর ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট। তিনি দৈনিক নয়া বঙ্গবাজারকে বলেন,মসজিদের উন্নয়নের জন্য চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগতভাবে অনুদান প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১নং সাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ দৈনিক নয়া বঙ্গবাজারকে বলেন, এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচারে আমি ব্যতীত। তিনি বলেন, আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর কারো কাছ থেকে কোন ঘুষ গ্রহন করেছি। এ ধরনের একটি ঘটনা কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করব। মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ খোকন আরো বলেন আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর গত এক বছরের ২৩ ট্রাক ইটার ভাঙ্গা দিয়ে রাস্তা মেরামত করেছি। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ লাইন স্থাপন, ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কার সহ এলাকার উন্নয়নে আমি দিনরাত পরিশ্রম করে চলছি।