১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সুন্দরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অবৈধ কার্যকলাপ

অভিযোগ
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
সুন্দরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অবৈধ কার্যকলাপ

সুন্দরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অবৈধ কার্যকলাপ

মোঃ ফিরোজ কবির সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপালচরণ মৌজাস্থ আশ্রয়ণ প্রকল্পে অবৈধভাবে বসবাসকারী জনৈক রওশন আলমের বিরুদ্ধে ব্যাপক কু-কর্মের অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, গোপালচরণ গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগমের নামে এ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৩৭ ও উপজেলা পর্যায়ে ৬৪৪ নম্বর ঘরসহ জমির দলিল হয়। তিনি বেশ কিছুদিন ঐ ঘরে থাকেন। দলিল সম্পাদনের পর তার ছেলে রওশন আলম (৪৭) বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগমকে ঐ ঘর থেকে বের করে দিয়ে নিজ দখলে নেয়। আশ্রয়হীন রোকেয়া বেগম বর্তমানে মেয়ের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করছেন। মায়ের নামীয় ঘরে অবস্থান নিয়ে রওশন আলম মাদক দ্রব্যের কারবার, বিদ্যুৎ সংযোগ ও সমিতি করার নাম করে আশ্রিত ৪৫ পরিবারের কাছ থেকে নানান অপকৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়। সমিতিসহ উক্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাসকারীদের শাসন করার জন্য রওশন আলম উপর থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে বিচার, শৃঙ্খলার নামে নারী ও শিশুর উপর নির্যাতন করে থাকে। তার হাতে শারীরিকভাবে নির্যাতিতা ৬৭৭ নম্বর ঘরে বসবাসকারী জরিমন বেগম ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। এছাড়া, মাদক কারবারে অংশগ্রহণ করতে আসা রওশন আলমের লোক দ্বারা একটি ঘরে বসবাসকারী এক প্রতিবন্ধী ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ্দ করেন স্থানীয়রা। পরে রওশনের লোকজনের প্রভাব, ভয়ভীতি অতিক্রম করে মামলা করতে না পেয়ে প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হন স্বামী মর্তুজ। কু-শাসন, নির্যাতন, মাদক কারবার, বিভিন্নভাবে টাকা হাতানোসহ রওশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জরিমন, আশাদুজ্জামান, আতাউর রহমানসহ অনেকেই বলেন, রওশন আলমের মা রোকেয়া বেগমের নামে সরকারীভাবে দলিল হয়েছে ৩৭ নম্বর ঘর। সে ঘর থেকে বৃদ্ধা মাকে বের করে দেয়ার পর অবৈধ কারবার চালিয়ে যেতে রাস্তার পাশে অবস্থিত ১ নম্বর ঘরের অধিকারীকে ৩৭ নম্বর ঘর দিয়ে রদবদল করে। সে ক্ষেত্রেও অশুভ প্রভাব খাটিয়েছে রওশন ও তার লোকজন। একক আধিপত্ত বিস্তারে মরিয়া রওশন আলম ঘরের পাশে একটি দোকানঘর স্থাপন করে সকল আশ্রিতদেরকে তার দোকানে খরচ নিতে চাপ সৃষ্টি করছে। সে ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য করে চড়া মূল্য হাতানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এসব বিষয়ে কথা হলে রওশন আলম জানান, তার দোকান এখনো উদ্বোধন হয়নি। সমিতি বিষয়ে টাকা হাতানোর কথা স্বীকার করে তিনি জানান, এটা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে জন্য জন প্রতি টাকা নিয়ে উৎকোচ দেয়া হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এ টাকা দেয়া হয়েছে সমিতির জন্য ঢাকা থেকে চলে আসা লোকের হাতে। অন্যান্য বিষয়ে রওশন আলম অস্বীকার করতে পারেননি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এটা কোন চক্র হতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল আলম রেজা জানান, শারীরিকভাবে নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে উভয় পক্ষকে নোটীশ করি। বিচারকালে রওশন আলম দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেয়ার পর মিমাংশা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031