Sharing is caring!
আমি আগেই বলেছিলাম ১০ তারিখ বিএনপির ঘোড়ার ডিম হবে: শামীম ওসমান
বিশেষ প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ : বিএনপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্নকে ‘ঘোড়ার ডিম’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জেলা আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে দুপুরে আদালত প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল-এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া পরিষদ প্যানেলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন। শামীম ওসমান বলেন, এইতো কয়েকদিন আগে তারা (বিএনপি) এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করল যেন তারা ক্ষমতায় এসে পড়ছে। তারা বলেছে ১০ তারিখে হেন হবে তেন হবে। আমি বলেছি ঘোড়ার ডিম হবে। আমি টেলিভিশনেই বলেছিলাম ঘোড়ার ডিম হবে। এখনো বলছি কোন ডিমই হবে না তাদের। ওদের ডিম শেষ। আম্মাগো-ভাইয়াগো বলে অনেক ভাগ হয়ে গেছে।
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা ধৈর্য ধরেছি কিন্তু আমরা দুর্বল না। একটা কারণে ধৈর্য ধরেছি। আপনারা যে অপরাধ করেছেন তার জন্য আপনাদের বিচারহয়েছে, জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং নারায়ণগঞ্জ বারেও আপনাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। আমরা আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি এবং জনগণের কাছে বিচার দিয়েছি যাদের ওপর আমরা বিশ্বাস করি।
শামীম ওসমান আরও বলেন, বিএনপির সঙ্গে এত গণতন্ত্র চর্চা করার মানসিকতা আমার নাই। বিএনপির ভাইয়েরা যারা আছেন তারা মনে রাখবেন, ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আপনারা কি করেছেন। ১৯৭৫ এর পরে আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জে আপনারা কি করেছেন। আপনারা যারা বিএনপি করছেন অনেক বড় বড় কথা উচ্চারণ করছেন। আপনাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, শান্ত থাকুন ।নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ শান্ত থাকতে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ’আমরা সবাইকে ক্ষমা করেছি। আমার বাপ দাদার বাড়ি হীরা মহলে গিয়ে পেশাব করা হয়েছিল, আগুন দেয়া হয়েছিল। আমাদের বহু নেতা- কর্মীকে, সেলিমকে জেলখানা থেকে এবং আমাদের নিয়াজু লের বড় ভাই নজরুল ইসলাম সুইটকে রিমান্ডের নামে জেলখানা থেকে ডান্ডাবেড়ি অবস্থায় বের করে গুলি করে মারা হয়েছিল। এ গুলো যদি একবার আমাদের মাথায় মনে পড়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনাদের জন্য নারায়ণগঞ্জে বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে। বিএনপির ক্ষমতাকালীন সময়ে সরকারের নানা অত্যাচা রের কথা উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, এই কোর্ট থেকে এড. খোকন সাহা থেকে শুরু করে ওয়াজেদ আলীসহ অনেক কেই চলে যেতে হয়েছে। রাস্তার সামনে থেকে আমাদের আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে পিস্তল ঠেকিয়ে গাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এমনকি এমন অত্যাচার করা হয়েছিল আপনারা (জনগণ) যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে দেখবেন লিংক রোড়ে দুটি কবর আছে। একটি পাপ্পু আরেকটি মনিরের কবর। মাজারের সঙ্গে মসজিদের ঠিক পাশে এই কবর দুটি। আমাদের পাপ্পু মনিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, আমরা কবরস্থানে নিতে পারিনি। যখন দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম তখন ওই লাশেরও উপর গুলি করা হয়েছিল।’
ওই সময় মনিরের লাশ নামিয়ে লাশ থেকে ৭০টি গুলি বের করা হয়েছিল বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, জেলা জজ আদালতের পিপি এড. মনিরুজ্জামান বুলবুল, সিনিয়র আইনজীবী এড. আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া, এড. মাসুদুর রউফ, সভাপতি প্রার্থী এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী এড. আলাউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি প্রার্থী এড. রবিউল আমিন রনি, প্রার্থী সাধারণ সম্পাদক এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, প্রার্থী যুগ্ম সম্পাদক এড. কামাল হোসেন, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. মাহবুবুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর মশিউর রহমান মতি, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ডিজিটাল বার ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে । নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ১শ ৫১জন।