Sharing is caring!
তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে এটা অবাস্তব: কৃষিমন্ত্রী।
——————————————
স্টাফ রিপোর্টারঃ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, তত্ত্ববাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নির্বাচনের আগে আন্দোলন আন্দোলন খেলা করে হরতাল অবরোধ ডাকে, আগুন সন্ত্রাস করে। তারা আগুন সন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মারে। যদি তারা নির্বাচনে না আসে, তারা যদি মনে করে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে এটা অবাস্তব সংবিধান বিরোধী।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের জনগণ। জনগণকে নিয়েই বিএনপির সকল আন্দোলন মোকাবেলা করা হবে। দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না। বিএনপি সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন দেখছে। আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপির নেই। বিগত ১৪ বছরে কোন আন্দোলনে বিএনপি সফল হয়নি ভবিষ্যতেও সফল হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বোকারবাইদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত
আউশনারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শেকড় তৃর্ণমূলে। আওয়ামী লীগের শেকড় গণমানুষের মধ্যে। আওয়ামী লীগের শেকড় উন্নয়নে। কৃষিমন্ত্রী বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তোলে ধরে বলেন, এ দেশের রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। বিএনপি বলেছিল, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে রায় হয়েছে, কোন দুর্নীতি হয়নি।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, তারা বলেছিল, ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চালাবে খালেদা জিয়া। কই? ১০ ডিসেম্বর তো চলে গেছে, এখনও দেশ চালাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়া জেলে থাকার কথা। দয়া করে তাকে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে জনগনের রায় নিয়ে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে।
আউশনারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী,
সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান প্রমুখ।