২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সুন্দরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের হয়রাণীর রোষানলে অভিভাবক

অভিযোগ
প্রকাশিত জানুয়ারি ১২, ২০২৩
সুন্দরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের হয়রাণীর রোষানলে অভিভাবক

 

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সতীরজান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী উপবৃত্তিসহ ৪জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগকারী এক অভিভাককে হয়রাণী করছেন।

জানা যায়, উক্ত বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্রী রোকসানা আক্তার ঐ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়ণকালে সে শিক্ষা উপবৃত্তির আওতায় আসে। প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ সরকার ঐ শিক্ষার্থী অভিভাবক হিসেবে তার মায়ের বিকাশ একাউন্ট সম্বলিত মোবাইল নম্বরের ০১৭৭৪৯৯৩৯০৬ স্থলে ০১৭৭৪৩৯৩৯০৬ উল্লেখ করেন। ফলে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থী রোকসানা আক্তারের বদলে অন্য নম্বরে টাকা যায়।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থী রোকসানার বাবা একরামুল হক বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের একপর্যায়ে থানা পুলিশের মাধ্যমে নম্বরটি যাচাই করতে গেলে প্রধান শিক্ষক প্রথমে অন্য একটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে একরামুল হককে ফাঁকি দেয়ার অপচেষ্টা চালান। পরে শিক্ষার্থী বাবার দেয়া সংশ্লিষ্ট নম্বর যাচাই করা হয়। সে অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের ছেলের অবস্থানে এ টাকা যাচ্ছে বলে একরামুল হক জানান।

এদিকে, সম্প্রতি ঐ বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ৪জন কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের টাকা হাতিয়ে সভপতি সাইদুর রহমানসহ বখরা করে নিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এসব ঘটনায় একরামুল হক পৃথক পৃথকভাবে গণ-স্বাক্ষর সম্বলিত করেন।

এতে ক্ষীপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ সরকার শিক্ষার্থী অভিভাবক একরামুল হকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে হয়রাণীর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে একরামুল হক জানান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ সরকারের সঙ্গে মোবাইলফোণে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে বার বার ব্যস্ততা জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান জানান, পরে কথা হবে।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বেলাল জানান, নিয়োগে টাকা হাতানো বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে কয়েক মাস আগে। সে ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছি কি-না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আবারও তদন্ত করা হবে।

থানার এসআই আরিফুজ্জামান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঐ মোবাইন নম্বর ট্র্যাকিং করা হয়েছে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডল বলেন, নিয়োগের বৈধতা আছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার রোকসানা বেগম জানান, গত ৫ বছর ধরে একজন গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্খীর উপবৃত্তির টাকা অন্যত্রে যাচ্ছে আর সেটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজও সংশোধন করেননি, এটা দুঃখজনক। অপর অভিযোগ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30