২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

পত্নীতলায় মহিলা অধিদপ্তরের বিউটিশিয়ান কনা’র বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ

অভিযোগ
প্রকাশিত জানুয়ারি ৫, ২০২৩
পত্নীতলায় মহিলা অধিদপ্তরের বিউটিশিয়ান কনা’র বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ

 

মোঃ মাহাবুব আলম ( নওগাঁ ): নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিউটিশিয়ান মিম্মাতুন জান্নাত ( কনা ) এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার অসহায় দরিদ্র বেকার নারীদের স্বাবলম্বী করতে মোটা অংকের অর্থ ব্যায় করে গ্রামীন মহিলাদের আয়বর্ধক প্রকল্প হাতে নেয়। সে মোতাবেক উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের কর্মক্ষম করে তোলেন। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মধে রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ, ব্লক বাটিক প্রশিক্ষণ ও বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থীদের দেওয়া হচ্ছে ১২ হাজার করে সন্মানী ভাতা।

অফিস সূত্রে জানা যায়, বিউটিশিয়ান মিম্মাতুন জান্নাত কনা প্রায় একবছর আগে পাশ্ববর্তী উপজেলা মহাদেবপুর মহিলা বিষয়ক অফিস থেকে বদলীজনীত কারণে পত্নীতলা মহিলা বিষয়ক অফিসে যোগদান করেন। তিনি এই অফিসে যোগদান করার পরেই শুরু করে দেন বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম ও দূর্ণীতি। কখনো পিকনিক এর নাম বলে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে ৪৫০-৬০০ টাকা করে আদায়, কখনো অনুপুস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের উপস্থিত দেখিয়ে তাদের সাথে লিয়াজু মেন্টেন করে , মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নিজের মতো করে উল্টা-পাল্টা বুঝিয়ে সন্মানী ভাতার পুরো টাকা আত্নসাৎসহ বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে।

বিউটিশিয়ান ১৬ তম ব্যাচের সাবরিন সুলতানা দোলন ও মারুফা বলেন, আমারা প্রথম থেকে ২৩ জন বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছি। এর মধ্যে প্রায় এক মাস প্রশিক্ষণ করার পর রিভা খাতুন নামের একজন মেয়ের বিয়ে হয়। তারপর থেকে রিভা খাতুন অনিয়মিত। প্রশিক্ষণ শেষের দিকে হঠাৎ একদিন আমাদের প্রশিক্ষক মিম্মাতুন জান্নাত কনা বলেন, যদি কেউ জানতে আসে আমাদের ব্যাচের কতজন ছিলো? তখন আপনারা বলবেন যে ২৫ জন ছিলো। তখন আমরা বললাম আপা আর দুজন কে? উত্তরে কনা আপা বলেন: আরজিনা বেগম ও সুরাইয়া। তখন আমরা আবার কনা আপাকে বলি যে, আপা এরা দুজন তো আমাদের সাথে প্রশিক্ষণ করেনি। আমরা তাদের কোনদিন দেখিনি। তখন কনা আপা আমাদের বলে: আমি আপনাদের যেভাবে শিখিয়ে দিচ্ছি ঠিক সেই ভাবেই বলবেন।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক শর্তে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের একাধিক অফিসস্টাফ বলেন, কনা আসার পর থেকেই প্রতি ব্যাচেই দুই জনের নাম বসায়ে দিয়ে টাকা উঠায়ে নেয়।

অভিযুক্ত বিউটিশিয়ান ট্রেনার মিম্মাতুন জান্নাত কনা এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এখানে ভাইবা পরিক্ষার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী যাচাই-বাছাই করা হয়। যে ভাইবা বোর্ডে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থী যাচাই-বাছাই করেন। এখানে আমি কিভাবে টাকা আত্নসাৎ করবো। আমার উপর আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এবিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনোরজ্ঞন পাল বলেন, এই বিষয়টি আমি জানার সাথে সাথে তাদের ডেকে কথা বলেছি। তারা বলেছে আমরা কেউ ১০ দিন কেউ ১৫ দিন উপস্থিত ছিলাম না। তারা আমাকে লিখিত দিয়েছে। সে অনুযায়ী কারো ১০ দিনের কারো ১৫ দিনের সন্মানী কেঁটেছি।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031