Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টোর -ঃ ৭১ টাকায় বিরিয়ানি পাওয়া যাচ্ছে।টাংগাইল পাসপোর্ট অফিস এর পাশেই পাওয়া যায়।ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ এর মূল্য ৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা।
৭১ টাকায় ডিমসহ মোরগ পোলাও বিক্রির ব্যতিক্রমী উদ্যোগের পরও এর দাম ৭০ টাকা নিয়ে বাকি ১ টাকা জমা রেখে হতদরিদ্রদের মাঝে খাবার সরবরাহ করছেন এর উদ্যোক্তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল পাসপোর্ট ও নির্বাচন অফিস চত্বরে খোলা জায়গায় বসেছে ভ্রাম্যামাণ রাযীয বিরিয়ানী নামের হোটেলটি। ১০-১২টি প্লাস্টিকের টুল রাখা হয়েছে ক্রেতাদের জন্য। এর কয়েকটিতে বসে ক্রেতারা খাচ্ছেন ৭১ টাকার মোরগ পোলাও। খাওয়া শেষে প্লাস্টিক জারের পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোন বাবুর্চি বা শ্রমিক নেই হোটেলটিতে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, হাজী বিরিয়ানী হাউসে ডিমসহ মোরগ পোলাও হাফ ১৫০ আর ফুল ৩০০ টাকা, নান্না বিরিয়ানীতে শাহী মোরগ পোলাও হাফ ১৫০ আর ফুল ২৮০ টাকা, নবাব বিরিয়ানী হাউজে মোরগ পোলাও হাফ ১৪০ টাকা আর স্পেশাল শাহী বিরিয়ানী হাউজে মোরগ পোলাও বিক্রি হচ্ছে হাফ ১৪০ আর ফুল ২৮০ টাকায়।
৭১ টাকায় ডিমসহ মোরগ পোলাও বিক্রির রাযীয বিরিয়ানীর উদ্যোক্তা ও কালিহাতীর এলেঙ্গা শামসুল হক মহাবিদ্যালয়ের একাউন্টিং অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ বলেন, টাঙ্গাইল পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের হাউজিং এলাকার বাসিন্দা বড় ভাই রাজীব হোসেন, সাদিক আর আমি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছি। তবে কারোই চাকরি ভালো লাগেনি। এ কারণে আমরা বাড়িতে ফিরে আসি। আমাদের উপার্জনসহ সমাজের জন্য কিছু করার কথা মাথায় আসে। ভাবনা থেকেই হোটেল করা আর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মাহুতি আর ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ আমাদের ভ্রাম্যামাণ হোটেলের মোরগ পোলাও এর দাম নির্ধারণ হয়েছে ৭১ টাকা। এর মধ্যে ১ টাকা সমাজের চেয়ে খেতে পারা ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রতিদিনই খেতে না পারা ওই ব্যক্তিদের দেয়া হচ্ছে জনপ্রতি জমা হওয়া ১ টাকা থেকে খাবার।
তিনি আর বলেন, সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার ব্যতিত ৫দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এই হোটেল। হোটেলে গড়ে প্রতিদিন তাদের ১০-১২ কেজি চালের মোরগ পোলাও বিক্রি হচ্ছে। এই পরিমাণ চালে ১০০-১২০ প্লেট মোরগ পোলাও হচ্ছে। স্পেশাল শাহী দম বিরিয়ানী নামের মোরগ পোলাও তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে চিনি গুড়া চাল, বয়লার মুরগী, সরিষার তেল। এক প্লেট মোরগ পোলাও এ দেয়া হচ্ছে পোলাওসহ এক টুকরো মুরগীর মাংশ, হাফ ডিম, লেবু আর শশা। নিজেরাই রান্না করাসহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করায় এত কম টাকায় বিক্রির পরও তাদের লাভ হচ্ছে প্রায় ২৫-৩০ ভাগ টাকা।