Sharing is caring!
কে এইচ মহসিন বান্দরবানঃ-
বান্দরবান জেলায় ৫ই ডিসেম্বর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর। বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ছিলেন বান্দরবান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল ইসলাম। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি গণ, কৃষাণ-কৃষাণী সহ সাংবাদিকবৃন্দ।
বক্তারা বলেন,আমাদের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকার মতো পাহাড়ী জুম চাষ পদ্ধতি ও প্রান্তিক ভূমিতে খাদ্য উৎপাদনের ক্ষমতার উপর অনেকাংশে নির্ভর করবে। এ জন্য ফসল নির্বাচন, চাষ পদ্ধতি, সামাজিক কার্যক্রম এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই জরুরি। বর্তমান সরকার টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্হাপনা, জলবায়ু, পরিবেশ ও ভূমি ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘ মেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে।
পাহাড়ী মাটির ক্ষয় রোধকরে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবিত টেকসই প্রযুক্তিসমূহের প্রচার করতে হবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, আমাদের কৃষি ও পরিবেশের অন্যতম অনুষঙ্গ মাটির বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে গবেষক, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কৃষক সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। মাটির অবক্ষয় কিভাবে সর্বোত্তম উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নির্ধারণের জন্য মাটি সম্পর্কে আরো বিশদ জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।