২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

চাটখিল কামিল মাদ্রাসার সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রেজুলেশন পরিবর্তনের অভিযোগ

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১, ২০২২
চাটখিল কামিল মাদ্রাসার সভাপতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রেজুলেশন পরিবর্তনের অভিযোগ

Sharing is caring!

 

মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী চাটখিল কামিল মাদ্রাসার সভাপতি ফয়সাল আল মাহমুদের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মাদ্রাসার মিটিং এর রেজুলেশন পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় গত ২৫ নভেম্বর চাটখিল কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতি, সহ-সভাপতির, শিক্ষক প্রতিনিধি অভিভাবক সদস্য, বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও সদস্য সচিব উপস্থিত ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী সভায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার স্বার্থে এজেন্ডাভিত্তিক বিষয়গুলির উপর আলোচনা করে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং সিদ্ধান্তগুলি রেজুলেশন আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়। সদস্য সচিব কর্তৃক মাদ্রাসার অ্যাকাউন্ট পরিচালনা বিষয়ক এজেন্ডা উত্থাপন করা হলে এ বিষয়ে সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে,গভর্নিং বডির সভাপতি এবং সদস্য সচিব এর যৌথ স্বাক্ষরে মাদ্রাসার সকল একাউন্ট পরিচালিত হবে। কিন্তু সভা শেষে পরদিন সকালে সভাপতি ফয়সাল মাহমুদ এবং অভিভাবক সদস্য কামাল হোসেন কারো সাথে কোন যোগাযোগ না করে অনৈতিক এবং অবৈধভাবে অধ্যক্ষকে চাপ প্রয়োগ এবং এক পর্যায়ে জিম্মি করে রেজুলেশনে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে বাড়তি কথা সংযোজন করেন। যা মোটেই সকল সদস্যদের মতামত নয়। অবৈধ সংযোজিত অংশে লেখা হয় যে, সভাপতির অবর্তমানে অভিভাবক সদস্য কামাল হোসেন এর যৌথ স্বাক্ষরে লেনদেন করা যাবে অর্থাৎ তাদের তিনজনের যেকোনো দুইজনে স্বাক্ষরে ব্যাংকের লেনদেন পরিচালিত হবে। এই কথা যেহেতু পূর্ণাঙ্গ কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা না করে ওই মিটিংয়ের রেজুলেশনে অবৈধভাবে সংযোজন করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মিটিংয়ে উপস্থিত অন্যান্য সদস্যরা এই সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত পোষণ করে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান রুবেল ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গভর্নিং বডির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্তের পরেও সভাপতি কেনো অধ্যক্ষ কে জিম্মি করে এধরনের বেআইনি কাজ করলেন এটা আমার বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এবং সদস্য সচিব মাওলানা বশির উল্যার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ২৫/১১/২০২২ ইং তারিখে গভর্নিং বডির মিটিং অনুষ্ঠিত হয় এবং মিটেঙ্গে এজেন্ডা ভিত্তিক আলোচনায় সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরেরদিন সকালে সভাপতি সাহেব, এবং কমিটির একজন সদস্য কামাল হোসেন আমাকে জিম্মি করে রেজুলেশনে কিছু অবৈধ অংশ সংযোজন করতে বাধ্য করে।পরে বিষয়টি আমি সহ-সভাপতি মহোদয়কে জানালে তিনি সকল সদস্যদের সাথে বিষয়টি আলোচনা করেন। পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, সভাপতি নিজে একজন আইনজীবী হয়েও এধরনের বেআইনি কাজ কিভাবে করেছেন সেজন্য আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।সেইসাথে অভিভাবক সদস্য কামাল হোসেনকেও পরিচালনা কমিটি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।