Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা : বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সাড়ে চার হাজার কোটি লোপাট করা টাকা কোথায় গেছে সেটি এখনও জানতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এক আসামির জামিন এবং পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে এ বিষয়টি উঠে আসে। শুনানির সময় আদালত বলেন, অর্থপাচারকারীরা অত্যন্ত চৌকস। দু-একজন টাকা পাচার করছে আর আমরা বসে বসে দেখছি। এর আগে হাইকোর্টে রিপোর্ট দাখিল করে দুদক। রিপোর্টে বলা হয়, প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করা জটিল।
মামলায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছে সেই সাক্ষীদের কাছ থেকেও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা মামলায় যথেষ্ট আলামত মিললেও প্রকৃত আলামত শনাক্ত করা কঠিন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে দুদক। বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৫৬টি মামলা করে দুদক। আর ৭৩টি অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। যেখানে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। ওই সব মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামসহ আসামির সংখ্যা শতাধিক।