২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লার জন্মদিন আজ

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৭, ২০২২
সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লার জন্মদিন আজ

Sharing is caring!

 

বিনোদন ডেস্কঃউপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। ৭১ বছর বয়সে আজ পা রাখলেন তিনি।

১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী। তাঁর মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী।

দীর্ঘ সংগীত জীবনে রুনা লায়লা ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। স্বাধীনতা পদকসহ বহুবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ৫৭ বছরের বর্ণাঢ্য সঙ্গীত ক্যারিয়ার শুরু করেন ১২ বছরের এক কিশোরের জন্য গান গেয়ে।

১৯৬৪ সালে বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলীর অনুমতি নিয়ে সাড়ে ১১ বছর বয়সে পাকিস্তানের ‘জুগনু’ সিনেমায় প্রথম গান করেন। ‘গুড়িয়াসি মুন্নী মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ গানটি কণ্ঠে তোলার জন্য একটানা দুই মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানী সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে ৩ দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি।

বাংলা-হিন্দি-উর্দু ছাড়াও গুজরাটি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, পশতু, বেলুচ, আরবি, পারসিয়ান, মালয়, নেপালি, জাপানি, ইতালীয়, স্প্যানিশ, ফরাসি ও ইংরেজিসহ ১৮টি ভাষার গান তাঁর কণ্ঠে প্রাণ পেয়েছে। রুনা লায়লা’র নিজের গাওয়া সর্বশেষ একক মৌলিক গান ছিল ‘ফেরাতে পারিনি’।

গুণী এই গায়িকা ক্যারিয়ার জুড়ে পেয়েছেন নানা পুরস্কার। এসবের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে ছয় বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক।

উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে অভিযোগ পএিকার পক্ষ থেকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।