২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিএনপি মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুমের বানোয়াট পরিসংখ্যান দিচ্ছে: সেতুমন্ত্রী

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ১৭, ২০২২
বিএনপি মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুমের বানোয়াট পরিসংখ্যান দিচ্ছে: সেতুমন্ত্রী

 

শেখ তিতুমীর ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় এসে অবৈধভাবে তা দখল করে রাখতে দেশের জনগণের ওপর সীমাহীন অত্যাচার চালিয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। একুশে আগস্টের মতো নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণহত্যা সংঘটিত করেছে। অথচ আজ তারা মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গুমের বানোয়াট ও মনগড়া পরিসংখ্যান উপস্থাপন করছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণ ভালো করেই জানে তারা কোথায় আছে। আর বিএনপির আমলে কোথায় ছিল? গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আর্থসামাজিক সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ আজ এক মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতিরাষ্ট্র হিসেবে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। তাই দেশের জনগণ নিশ্চিতভাবে বিএনপির সেই অনুর্বর, ঊষর, অন্ধকারময় সময়ে ফিরে যেতে চায় না। জনগণ বিএনপিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আর জনগণের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যাত বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে। আমরা সেই সন্ত্রাসের উত্তাপ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, দূরে রাখার চেষ্টা করেছি।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই বলেছেন, তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ এই সমাবেশে সরকার বাধা প্রদান করেনি। সরকার শুধু সতর্ক ছিল এই সুযোগে বিএনপি যেন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে। বিএনপি বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় এসে অবৈধভাবে তা দখল করে রাখতে দেশের জনগণের ওপর সীমাহীন অত্যাচার চালিয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। একুশে আগস্টের মতো নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণহত্যা সংঘটিত করেছে। অথচ আজ তারা মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গুমের বানোয়াট ও মনগড়া পরিসংখ্যান উপস্থাপন করছে।

তিনি আরও বলেন, অতীতের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্যই তারা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনগণ দ্বারা মারাত্মকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এরপরও তারা ২০১৪ জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টায় সারা দেশে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। দেড় শতাধিক নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে শত শত মানুষ। বিএনপি তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য আবারও সেই সব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সেসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকার কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় জনগণকে শান্তি ও নিরাপত্তা দেয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব। শান্তি-নিরাপত্তার পাশাপাশি চলমান বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করে চলেছে সরকার। তথ্যের অবাধপ্রবাহের এই যুগে দেশের জনগণ ভালো করেই জানে, বৈশ্বিক সংকটের অভিঘাত কত গভীর এবং তা মোকাবিলায় সরকার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং জনগণ ফুঁসে ওঠেনি। বরং বৈশ্বিক এই সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই মানবিক সংকটে যখন বিশ্বব্যাপী সব রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন সমন্বিত প্রয়াস চালাচ্ছে, তখন বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে। তাদের নেতারা নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য উসকানি দিচ্ছে। এতেও তারা জনগণের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে দিগ্ভ্রান্ত হয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে। আমরা জানি, এরপরই বিএনপি এই ব্যর্থতা ঘোচাতে তাদের স্বভাবজাত সন্ত্রাসের পথে ফিরে যাবে। তবে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যে কোনো পরিস্থিতিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30