১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৭, ২০২২
মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী

Sharing is caring!

 

স্টাফ রিপোর্টার:আজ বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২।
১৯৭৬ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চির বিদায় নেন। আজ সেই মজলুম জননেতার ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। ঢাকা ও টাঙ্গাইলের সন্তোষে দিনটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তার (ভাসানীর) অত্যন্ত সাদাসিধা জীবনযাপন দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসারই প্রতিফলন। মওলানা ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে বলে প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার (ভাসানীর) আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল উল্লেখ করে বলেন, শোষণ, বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।

মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে সর্বস্তরের জনগণ টাঙ্গাইলের সন্তোষে শ্রদ্ধা জানাবেন।

মওলানা ভাসানী ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির প্রেরণা। শোষণ-নির্যাতন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়তে তা তিনি শিখিয়েছেন। কি করে অধিকার ছিনিয়ে আনতে তা তিনি শিখিয়েছেন।