Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার:নীলফামারীর ডিমলায় ২০২২ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সরিষা, গম, ভূট্টা, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ এবং মুগডাল ফসল আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরন করা হয়েছে।
সোমবার (১৪-নভেম্বর) সকালে উপজেলা কৃষি অফিস চত্ত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার দশটি ইউনিয়নে ১৪৫০ জন কৃষকের মাঝে এসব ফসলের সার ও বীজ বিতরণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
কৃষকদের হাতে সার ও বীজ তুলে দিয়ে মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন, নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার।
উদ্বোধন সময় লক্ষ্য করা যায় যায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিজস্ব দুটি গুদাম ঘরের সামনে উপজেলা পাঁচটি করে দশটি ইউনিয়নের সুবিধাভোগী কৃষকদের সারিবদ্ধ করে শান্তিপূর্ণভাবে সার ও বীজ বিতরণ করেন। সুশৃংখলভাবে কৃষি প্রণোদনার উপকরণ বিতরণে কৃষক ও এলাকার সুশীল সমাজ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিতরণ কার্যক্রমের পূর্বে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এঁর সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী৷
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু৷
উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মোট ৩ হাজার ৩ শত ৭০ জনের মধ্যে ৯শত গমচাষী প্রত্যেককে গমবীজ ২০ কেজি, ডিএপি সার ১০ ও এমওপি সার ১০ কেজি৷ ৯শত ভূট্টাচাষী প্রত্যেককে ভূট্টা বীজ ২ কেজি, ডিওপি সার ২০ ও এমওপি সার ১০ কেজি। ১৪ শত ৫০ জন সরিষা চাষী প্রত্যেককে সরিষা বীজ ১ কেজি, ডিওপি সার ১০ ও এমওপি সার ১০ কেজি। ২০ জন সয়াবিন চাষী প্রত্যেককে ৮ কেজি সয়াবিন বীজ, ডিওপি সার ১০ ও এমওপি সার ১০ কেজি। ৪০ জন শীতকালীন পেঁয়াজ চাষী প্রত্যেককে ১ কেজি পেঁয়াজ বীজ, ডিওপি সার ১০ ও এমপি সার ১০ কেজি এবং ৬০ জন মুগডাল চাষী প্রত্যেককে ৫ কেজি মুগডাল বীজ, ডিওপি সার ১০ ও এমওপি সার ৫ কেজি করে বিতরণ করা হয়।