Sharing is caring!
বিশেষ প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো জুস খিলিয়ে চালককে অজ্ঞান করে অটোবাইক ছিনতাইকালে ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় নারী সদস্য শাবানা বেগম (৫২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়। ছিনতাই চক্রের সদস্য শাবানা বেগম উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের কিশামত সর্বানন্দ গ্রামের সোলেমান মিয়ার স্ত্রী। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে ছিনতাইকারী চক্রের গ্রেফতারকৃত সদস্য শাবানাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালারছিড়া মোড় হতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুরহাট যাওয়ার জন্য ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্য আঙ্গুর মিয়া (২২) নামে এক চালকের অটোবাইক ভাড়া করে রওয়ানা দেয়। অটোবাইক চালক আঙ্গুর মিয়া উপজেলার পূর্ব বেলকা গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে। যাত্রাকালে পথিমধ্যে ওই তিন যাত্রীর মধ্যে দুইজন স্বামী-স্ত্রীর অভিনয় করে আঙ্গুর মিয়াকে চেতনানাশক অষুধ মেশানো জুস খেতে দেয়। সরল বিশ্বাসে জুস খাওয়ার কিছুক্ষন পর দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা নামক স্থানে পৌঁছা মাত্রই আঙ্গুর মিয়া জ্ঞান হারালে তাকে নেমে দিয়ে ছিনতাইকারী চক্র অটোবাইকটি নিয়ে চম্পট দেয়। এসময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা থানা পুলিশকে খবর দিয়ে ছিনতাইকারী চক্রকে ধাওয়া করে। এদিকে চৌকষ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সেরাজুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রুতগতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছিনতাইকারী চক্রের নারী সদস্য শাবানাকে গ্রেফতার করে এবং ছিনতাই হওয়া অটোবাইকটি উদ্ধার করে। এসময় ছিনতাইকারী চক্রের দুই পুরুষ সদস্য রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এঘটনায় আঙ্গুরের পিতা আব্দুল আজিজ বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে।
থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সেরাজুল হক বলেন, ছিনতাই ঘটনার সাথে শাবানা জড়িত মর্মে তথ্যাদি পাওয়া গেছে। থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রিপোর্ট একাত্তর কে বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।